ইউক্রেইন সংকট বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমাতে পারে ১ শতাংশ পয়েন্ট: ওইসিডি

সন্ধান২৪.কম : ইউক্রেইন সংকটের কারণে এ বছর বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ পয়েন্টের বেশি কমে যেতে পরে; সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-ওইসিডি।

রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই ধাক্কা সামলাতে ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর সরকারকে ঝুঁকিতে থাকা খাত চিহ্নিত করে ব্যয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তঃসরকার এই সংস্থা।

ওইসিডি বলছে, জোটের দেশগুলো যদি তাদের জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট কিছু খাতে প্রণোদনা হিসেবে দেয় তাতে মূল্যস্ফীতিতে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলেই যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব মোটামুটি অর্ধেক কমিয়ে আনা যাবে।

ইউরোপ যেহেতু জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল, স্বাভাবিকভাবেই ওই অঞ্চলের অর্থনীতি যুদ্ধের কারণে বড় ধাক্কা খাবে।

প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ওইসিডির ধারণা, যুদ্ধের প্রভাবে ইউরো জোনের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্ট কমতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা হতে পারে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ পয়েন্ট।

বৈশ্বিক জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ রাশিয়া ও ইউক্রেইন থেকে আসে। কিন্তু এই যুদ্ধের প্রভাব হবে জিডিপির ওই হিসাবের অনেক বেশি কারণ তাদের জ্বালানি, কৃষিপণ্য ও কাঁচামালের ওপর অনেক দেশই নির্ভরশীল।

ওইসিডি বলছে, জ্বালানি ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ইতোমধ্যে মূ্ল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত হবে মুদ্রানীতি হালনাগাদ করা। পাশাপাশি ধীরে চলো নীতি মেনে চললে যুদ্ধের প্রভাব কিছুটা সহজ সম্ভব হবে।

পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে আর্থিক খাতের অস্থিরতা প্রশমনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি হস্তক্ষেপ করার প্রস্তুতি রাখতে বলেছে ৩৮ দেশের এই অর্থনৈতিক জোট।

জ্বালানি ও খাবারের অসহনীয় দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারগুলোকে ফি ও ট্যাক্স কমানোর মত পদক্ষেপও নিতে বলা হয়েছে।

তবে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ওইসিডি বলেছে, ওই প্রণোদনা হতে হবে নির্দিষ্ট খাতের জন্য এবং স্বল্পমেয়াদী। আর যেসব খাত এ পরিস্থিতিতেও বেশি লাভ করছে, সেসব খাতে কর আরোপ করে ওই বাড়তি অর্থের যোগান দেওয়া যেতে পারে।

Exit mobile version