সন্ধান২৪.কম ডেস্ক : ইজরায়েলকে চরম সাজা দিতে ইরান নিজেদের পরমাণু নীতিতে বদল আনার কথা ভাবছে । সে ক্ষেত্রে নিজেদের চিরাচরিত ‘অনাক্রমণ’ নীতি থেকে সরে আসতেও পিছপা হবে না তারা। ইরানের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তর থেকে এখনই কোনও উচ্চবাচ্য করা না হলেও মনে করা হচ্ছে, ইজ়রায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখতে চলেছে তেহরান। ইরানের বক্তব্য, তাদের খুব ভাল করেই জানা রয়েছে, ইজ়রায়েলের কোথায় কোথায় পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলি লক্ষ্য করেই আক্রমণ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি। বৃহস্পতিবার ইরানের পরমাণু নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আহমেদ হাঘতালব সে দেশের আধা সরকারি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ়কে জানান, ইজরায়েল তাদের পরমাণু কেন্দ্র এবং পরমাণু পরিকাঠামোগুলি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালালে তারাও পরমাণু সংক্রান্ত নীতি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে।
ইরান পরমাণু শক্তিধর দেশ। তবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলে। এই নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে শিয়াপ্রধান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় শাসক আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের।
ইরানের রক্ষণশীল শাসক খামেনেই বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রীতিমতো ফতোয়া দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ইসলামি ধর্মগ্রন্থ উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, “পরমাণু বোমা তৈরি এবং মজুত রাখা অন্যায়।”
একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের পরমাণু প্রযুক্তি রয়েছে। তবে ইরান সর্বদা তা এড়িয়ে চলবে।” যদিও ভূরাজনৈতিক কারণে খামেনেইয়ের এই অবস্থান থেকে পরে অনেকটাই সরে আসে ইরান।