সন্ধান২৪.কমঃ আবহাওয়া অফিস বলছে, আপাতত তাপমাত্রার তারতম্য চলবে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে তাপমাত্রা আবার খানিকটা নামতে পারে। মিলতে পারে শীতের আমেজ। যদিও হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় এ বছর এক রকম ইতি। তার পর তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। তার পর আবার গরম বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। তবে উত্তুরে হাওয়ার জোর খানিকটা বেড়েছে। তার জেরেই গুমোট কেটে চনমনে আবহাওয়া মিলছে শুক্রবার।

কখনও শীত আর কখনও ঠান্ডার এই আবহাওয়া প্রভাব ফেলে শরীরের উপরও। শীতকালীন রোগবালাই তো ছিলই, তার উপর হাওয়া বদলের এই খবরে শরীর খারাপের আশঙ্কা জাঁকিয়ে বসছে মনে। আবহাওয়ার ওঠানামার প্রভাবে শারীরিক কী কী সমস্যা হতে পারে? কী ভাবেই বা প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ থাকা সম্ভব, তা জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল চিকিৎসক অদ্রিজা রহমান মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার উপায় জানালেন চিকিৎসক। অদ্রিজার বলেন, ‘‘আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় মূলত দু’টি সমস্যা হয়। সর্দি-কাশি আর পেটের গোলমাল। কখনও খুব ঠান্ডা, আবার এই দরদর করে ঘাম ঝরছে কপাল থেকে। এক বার সোয়েটার, পরক্ষণেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের হাওয়ায় স্বস্তি পাওয়া। এ সব তো লেগেই রয়েছে। ফলে বিভিন্ন আবহাওয়ার সংস্পর্শে এসে খারাপ হচ্ছে শরীর। ঘাম বসে আরও বেশি ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। এ বার এটা যে শীতকালে ঠান্ডা লেগে হচ্ছে নাকি, আবহাওয়ার হেরফেরে হচ্ছে, তা অনেক সময়ে বোঝা যায় না। তাতেই আরও সমস্যা বাড়ে।’’