সন্ধান২৪.কমঃ কানাডার টরোন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে।
ছেলের কাছে গিয়ে অবশেষে তার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। নিউইয়র্কের একাধিক ব্যক্তিকে তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন। জানিয়েছেন, নিবিড়ের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিবিড় কুমারের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি তিনিই চালাচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনার খবর শুনে ইতোমধ্যে কুমার বিশ্বজিতের মেয়ে টরন্টো পৌঁছেছেন। ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে মঙ্গলবার রাতেই টরন্টোর উদ্দেশে রওনা হয়েছিলন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাইমা সুলতানা।
এই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৭ থেকে ২১-এর মধ্যে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় নিউইয়র্কসহ দেশ-বিদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মারাত্মক এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অন্টারিও পুলিশের এক সদস্য জানান, টরন্টোর ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে ওঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে।
সেই পুলিশ সদস্য বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করে। গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। সামনের সিটে বসা একজনকে উদ্ধার করে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হলে, তিনি সেখানেই মারা যান। ড্রাইভারের আসনে থাকা ব্যক্তিটি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুরুতর আহতাবস্থায় নিবিড় কুমারকে ইটোবিকো হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর দুইবার তার অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে নিবিড়কে ইটোবিকো হাসপাতাল থেকে সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তারা ৪ জনই আন্তর্জাতিক ষ্টুডেন্ট হিসেবে টরন্টোতে বসবাস করতেন।