সন্ধান২৪.কম : গত কাল ৪ জুলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮তম স্বাধীনতা দিবস। ১৭৭৬ সালের এই দিনে ১৩টি উপনিবেশের কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে। অবশ্য এর দুই দিন আগেই প্রতিনিধিরা ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়।
আমেরিকানরা প্রতি বছর ৪ জুলাই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিনটিকে স্মরণ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশবাসীর উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন। তার আগে সাধারণ মানুষের সাথে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতি বছরের মত এবারেও স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছিল। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে আয়োজনে ছিল কুচকাওয়াজ এবং কনসার্ট।
নিউইয়র্ক শহরে সবচেয়ে বড় আতশবাজির আয়োজন করেছিল রিটেইল শপ মেসিস। ম্যানহাটনে ইস্ট রিভারে ছিল চোখ ধাঁধানো এই আতশবাজি। থার্টি ফোর স্ট্রিট বরাবর এফডিআর ড্রাইভ ও লং আইল্যান্ড সিটির নদীর ধারে এই আতশবাজি দেখতে ভিড় করেছিল লাখো মানুষ। প্রায় ৬০ হাজার শেল ব্যবহার করে এখানকার ফায়ারওয়ার্ক শোতে ১৭টি আলাদা এক্সপ্লোশান প্যাটার্ন তৈরি করা হয়েছিল। ২৫ মিনিটের এই শো শুরু হয়েছিল রাত ৮টায়। এবছর শো দেখার জন্য ১০ হাজার ফ্রি টিকিট দেয়া হয়েছিল ।
এছাড়াও গত বুধবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকা আতশবাজির চ্ছটায় রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেটে আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই ১৩টি উপনিবেশ একসঙ্গে ইংল্যান্ডের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। তখন ভার্জিনিয়া উপনিবেশের জর্জ ওয়াশিংটন ছিলেন প্রধান সেনাপতি। আর সেই যুদ্ধে উপনিবেশগুলোর বিজয়ের প্রাক্কালে ১৭৭৬ সালের ২ জুলাই দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর পাঁচজনের একটি কমিটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচনা করে। টমাস জেফারসন, জন অ্যাডামস, বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন ছিলেন এ কমিটির অন্যতম সদস্য। টমাস জেফারসন ছিলেন মূল লেখক।
রচিত ঘোষণাপত্রটি নিয়ে কংগ্রেসে তর্ক-বিতর্ক হয় এবং পরিশেষে ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। ঘোষণাপত্রটি কংগ্রেসের অনুমোদন পায় ৪ জুলাই, ১৭৭৬ সালে।
ব্রিটিশদের অরাজকতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ‘প্রতিটি মানুষই সমান এবং একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি’র বাণী সামনে রেখে টমাস জেফারসন লিখলেন স্বাধীনতার বাণী।