নিউইয়র্ক সিটির সেরা হাইস্কুলগুলোতে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি চালু করার ফলে এশিয়ান ছাত্ররা কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো ছাত্রদের চেয়ে পিছিয়ে গেছে। ২০২২ সালে ভর্তির জন্য সিটির স্কুলে আবেদন করেছিল ১২,০৮২ জন ছাত্র, যাদের মধ্যে ৮,৪৮৪ জন ছাত্র তাদের পছন্দের স্কুলের ক্রমতালিকার পাঁচটি স্কুলের মধ্যে ভর্তির সুযোগ লাভ করবে। অর্থ্যাৎ লটারি পদ্ধতির কারণে আবেদনকারী প্রায় ৩০ শতাংশ ছাত্র তাদের পছন্দের স্কুলে ভর্তির সুযোগ পায়নি।
অর্থ্যাৎ ৯০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ও ৮৯ শতাংশ ল্যাটিনো আবেদনকারী তাদের পছন্দের ৫ স্কুলের একটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও এশিয়ানরা পেয়েছে ৭০ শতাংশ। মোট ৭১,৩৪৯ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৪৫,০৬৯ জন কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো ছিল। শ্বেতাঙ্গ ছাত্রদের ভর্তির অবস্থান ছিল তৃতীয়, তাদের আবেদনের মধ্যে ৭৬ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৯,৭৬৭ জন তাদের পাঁচ পছন্দের স্কুলের একটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম পছন্দের তিনটি স্কুলে ভর্তির আবেদনকারী এশিয়ান ছাত্রদের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৫৮ শতাংশ, সেক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনোরা পেয়েছে যথাক্রমে ৮২ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ। প্যারেন্ট লিডারস ফর অ্যাকসিলারেটেড কারিকুলাম এন্ড একডুকেশন এর কো-ফাউন্ডার ইয়ান চু বলেছেন, লটারিতে এশিয়ান ছাত্রদের ভর্তির সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। এশিয়ান পরিবারগুলো অত্যন্ত হতাশ ও অসুখী।”
নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে অভিযোগ ওঠেছে যে এটির ভিত্তি গাণিতিক এক ফর্মূলা, যার মধ্যে ছাত্রদের মাধ্যমিক পড়াশোনার ফলাফলের ওপর কোনো গুরুত্ব প্রদান করা হয় না। যেমন রিপোর্ট কার্ডে ৯০ বা তদুর্ধ নম্বর পেয়েছে এমন ছাত্রদের লাটারিতে সর্বোচ্চ অবস্থানে রাখা হয়েছে। এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের ওয়েবসাইটে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ায় ছাত্রদের গ্রেডকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু স্টেট টেস্ট স্কোর ও ক্লাসে হাজিরার বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।