সন্ধান২৪.কমঃ পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব থেকে নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদসহ কয়েকটি পত্রিকায় পিকে হালদারের অর্থ লুটপাটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ-এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তাকে সরিয়ে দেয়া হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘তার (শাহ আলম) বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
দুনীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তথ্য দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
অভিযোগ, পিকে হালদারের কাছ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের ‘মাসোহারা’ দেয়া হতো। এসব অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিলে তিন দিনের মাথায় মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে রাশেদুল হক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আমরা জবানবন্দির আলোকে সেটি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব। এখানে পাঁচ হাজার মানুষের কর্মস্থল, এখানে দু-একজন অপকর্ম করে ম্লান করবে এটা হতে পারে না। কোন ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান কখনও নেবে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখনও তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি। তদন্ত কমিটি গঠন হলে, সেই কমিটি বিষয়টি তদন্ত করবে এবং আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে যাবো।’