সন্ধান২৪.কম ঃ প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিসে তাদের ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়।
এর আগে গত আট জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক ।মামলার এজাহারে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও সাবেক পরিচালক আরেফিন সামসুল আলামিনকে ১১ জানুয়ারি দুদকে তলব করা হয়েছে । নেচার এন্টারপ্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের দুই মালিক নওশের উল ইসলাম ও মমতাজ বেগমকে ১২ জানুয়ারি, এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক সনজিব কুমার হাওলাদারকে ১২ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। এমটিবি মেরিন লিমিটেডের আরেক মালিক বাসুদেব ব্যানার্জী এবং নেচার এন্টারপ্রাইজের মালিক পাপিয়া ব্যানার্জীকে ১৩ জানুয়ারি তলব করা হয়েছে।
অবৈধ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের বেশির ভাগই বিদেশে, বিশেষ করে কানাডায় পাচার করেছেনএনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত হালদার। বর্তমানে নিজেও বিদেশে অবস্থান করছেন তিনি। তবে ঢাকায় তার নামে একাধিক বাড়ি, প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে এবং নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে, তাদের মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার ছিলেন একজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বছরের ১৪ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১০ আগস্ট হাজির হতে নোটিস পাঠিয়েছিল দুদক। তবে ৩ অক্টোবর বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই তিনি দেশ ছাড়েন বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।