বাংলাদেশের কার কত টাকা সুইস ব্যাংকে আছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

সন্ধান২৪.কমঃ  সুইস ব্যাংকসহ বিদেশী ব্যাংকে বাংলাদেশের যেসব কোম্পানি ও নাগরিকের অর্থ রয়েছে খুব দ্রুত তার একটি  পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।

সে সঙ্গে বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অথবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার অর্থপাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয় নিরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্ট

সেইসাথে এসব ব্যাংকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া সুইস ব্যাংকসহ বিদেশী ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা কোম্পানি এবং অন্য কোনো সত্ত্বার গোপনে গচ্ছিত টাকা উদ্ধারে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রুলে পানামা পেপার ও প্যারাডাইস পেপারে এদেশের যেসব নাগরিক ও কোম্পানির নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সে তদন্তের অগ্রগতি প্রতি মাসে আদালতকে জানাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। আবেদনের পক্ষে কাইয়ুম খান নিজেই, দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।

শুনানিতে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মুসা বিন শমসের ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু। সুইস ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।

 

Exit mobile version