বাংলাদেশের রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে অগ্নিসংযোগ, নিহত ২ ! আহত অর্ধশত

সন্ধান২৪.কম ডেস্ক : বাংলাদেশের  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ কবর, বাড়ি ও দরবার শরিফে ‘তৌহিদি জনতার’ নামে হামলা-ভাঙচুরের সময় ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায়  ২ জনের মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়ালেও প্রশাসন নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। শুক্রবার বিকালে এ ঘটনায় নুরুল হকের লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে হাসপাতালে গেছেন অন্তত ২২ জন। সেখানে দুইজনের মৃত্যুর খবর ‘শোনার’ কথা বলেছে পুলিশ, প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়, তবে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরুল হক। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মারা যান নুরুল হক। ওই দিন রাতে মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় আস্তানায় তাঁর লাশ দাফন করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কবর সমতল করাসহ কয়েকটি দাবি জানায় স্থানীয় আলেম সমাজ।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হকের আস্তানায় অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ করে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে কবর সমতলসহ বিভিন্ন দাবি জানায়। অন্যথায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পরে ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়।

জেলার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরাও আপনাদের মত শুনছি যে, এক-দুজন মারা গেছেন। কিন্তু অফিশিয়ালি আমাদের কাছে এখনও এমন কোনো তথ্য নেই।”

তিনি বলেন, “যে সময় ঘটনা ঘটে, তখন আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। যারা আহত হয়েছেন তাদের আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা এখনও ঘটনাস্থলে আছি। তবে এর মধ্যে কেউ মারা গেছেন কি-না আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি।”

জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেন, “আপনার মত অনেকেই আমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু রাজবাড়ী বা গোয়ালন্দে মারা যাওয়ার কোনো খবর নেই।

তিনি বলেন, “আহত অবস্থায় ২২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বাকিদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেটা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আমরা জানি।

“এরপর কেউ মারা গেছেন কি-না সেটা আমরা এখনও জানি না। হয়ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করলে আপনার সেটা জানতে পারেন।”

সুত্র : বিডি নিউজ ২৪.কম ও প্রথম আলো।

 

Exit mobile version