সন্ধান২৪.কম: বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিন্দুদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনাইটেড হিন্দুস্ অব ইউএসএ।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেষ্টুরেন্টে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডেও সদস্য নিত্যানন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড হিন্দুস্ অব ইউএসএর সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চেয়ারম্যান প্রতাপ দাস,সভাপতি ভজন সরকার,উপদেষ্টা শিতাংসু গুহ, উপদেষ্টা ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য, ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়দেব গাইন,ডিরেক্টর মনিকা রায় চৌধুরী ও সহ-সভাপতি ভবতোষ মিত্র।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে,বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেশে যে অস্থিরতা বিরাজমান, এর সুযোগ নিয়ে ২০০১ সালের অক্টোবর কিংবা ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে বর্বর সহিংসতা চালানো হয়েছিল তার সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিরোধী দল এবং তাঁদের সমমনা দলগুলো নির্বাচন বয়কট করে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হিন্দুরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাইলে তাঁদের উপর ২০০১ সালের মত অত্যাচার চালানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ সকল রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য সেনাবহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান এবং বি.জি.বি. ও র্যাব বাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়ার আহŸান জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে, ২০১৮ সালের আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া একটি সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, এবং একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করার প্রতিশ্রæতি রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে ১) আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে হিন্দুদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ২) ঝুকিপুর্ণ এলাকাগুলিতে প্রয়োজনে পুলিশ বিডিআর এবং সামরিক বাহিনী নিযুক্ত, ৩) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বুলেটিন রেডিও টেলিভিশনে প্রচার, ৪) ধর্ম অবমাননার নামে হিন্দুদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্ট ব্যবহার বন্ধ এবং ৫) যুক্তরাষ্টের মত হেইট ক্রাইম ও স্পীচ আইন অন্তভূক্ত করে একটি কঠোর সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করা এবং ৬) অবিলম্বে সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন করার দাবী জানানো হয়।