সন্ধান২৪.কম: গত ৪ মে সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের ১৫১৪ ওলমস্টেড এভিনিউর পিএস ১০৬ মিলনায়তনে ‘শঙ্খ বাজে চিত্ত মাঝে’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে বরেণ্য অভিনয় শিল্পী রেখা আহমেদ ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক মনজুর আহমদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। বাফার পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মুনিরা ও ফারজানা এবং নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থী অস্মিতা ও জান্নাত আলোকিত এই দুই অগ্রজকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। সম্মাননা পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। রেখা আহমেদের প্রতি সম্মান জানিয়ে অভিনয় শিল্পী শিরিন বকুল অভিনয় করেন রেখা আহমেদের লেখা ও অভিনীত নাটক বীরাঙ্গনা সখিনা। মানপত্র পাঠ করেন ক্লারা রোজারীও ও খায়রুল ইসলাম পাখী। উত্তরীয় পরিয়ে দেন মোশারফ হোসেন ও জুলফিকার হোসেন বকুল। ক্রেস্ট তুলে দেন সাংবাদিক কৌশিক আহমেদ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মুজিব বিন হক। মানপত্র তুলে দেন ফরিদা ইয়াসমিন ও শামীম আরা বেগম।
বাফা’র কর্ণধার ফরিদা ইয়াসমিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, অভিনয় শিল্পী রেখা আহমেদ ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক মনজুর আহমদকে সংবর্ধনা দিতে পেরে বাফা গর্বিত। বাফার শিক্ষার্থী তথা নতুন প্রজন্ম তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে।
এ অনুষ্ঠান শুরু হয় শিশু-কিশোর ও বড়দের অংশগ্রহনে সমবেত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ স্মরণে শিল্পীরা গেয়ে উঠেন ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’। সমবেত সংগীত পরিচালনায় ছিলেন তানভীর তমাল। উপস্থাপনায় ছিলেন শামিম আরা বেগম ও গোলাম মোস্তফা।
এরপর ছিল নৃত্য প্রশিক্ষক রাসেল আহমেদের পরিচালনায় বাফার শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য। নৃত্য প্রশিক্ষক শাচী পেনীর পরিচালনায় বাফার শিল্পীদের পরিবেশনায় ক্ল্যাসিকেল নৃত্য উপস্থাপন করা হয়।
বর্ষবরণের এই আয়োজনে পুতুল নাচ, হেই সামালো, নিটোল পায়ে রিনিঋিনি, টাপা টিনি, বাংলাদেশের ঢোলের বাদনে গানের সাথে নাচের কোরিওগ্রাফী করেছেন প্রশিক্ষক রাসেল আহমেদ। নৃত্য পরিবেশনায় ছিল সারাফ, কথা , নাসিমা, অদিতিয়া, জয়িতা, আবৃত্তি, তনুশ্রী, শুভশ্রী, মিথিলা, আরিশা, এলিজা, রায়না, ইশারা, শ্রেয়শী, তাহনিয়াত, জ্বারা, রাজবিকা, দিশিতা, অধরা, বর্তিকা, শ্রীময়ী, অস্মিতা, জান্নাতুল, লাইসা, আজওয়া, বৃন্দা, সময়, সৃজিতা, ইরাম এবং রাসেল আহমেদ।
আমন্ত্রিত শিল্পী ইফতির সাথে দলীয়ভাবে গিটার বাজিয়ে শোনান গিটার বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন বুলা আফরোজ।
সমবেত সঙ্গীতে এবং গীটারে অংশগ্রহন করেন ইরাম, আজওয়া, প্রীতম, বৃয়ানা, আর্শি, আরোহী, ইনারা, শন, অর্জুন, তুরহান, বৃন্দা, সময়, সুহানা, শ্রীময়ী, শ্রীজিতা, শান্তলিকা, পারিসা নাজ, তনুশ্রী, শুভশ্রী, আয়মান, জয়িতা, সানবি, মানব, পার্থ, রাধীকা, রিসব, শাওন , শ্যাম, সময়, তামজীদ, আলভীরা, আরাফ, আহনাফ, আরিয়ান, অর্জুন, আয়মান, ইরফান, জয়িতা, মৃদুলা, রোদেলা, নবব, নেহা, সাইফ, সামান্তা, সুচি, জারা, তরুন চন্দ, শম্পা রহমান, পাপড়ি, রেক্সোনা, বুলা, শারমিন, বিথী, অর্পনা, দিশা, হীরা, মিতু, ববি, পলি, সীমা, আসমা, সুমনা, শর্মি, অলকা, তারেক এবং প্রশিক্ষক তানভীর তমাল। তবলায় ছিলেন আরিফ হাসান, মৃদঙ্গ ও পার্কাশনে আদি পল, কীবোর্ডে রবিউল হাসান রুবেল, গীটারে স্পন্দন ও শিক্ষার্থী গীটারিস্টবৃন্দ।
বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন মনিরা নুর, ফারজানা ইয়াসমিন, আনোয়ারুল হক লাভলু, শিরিন বকুল, কে.সি.মং, সামিউল ইসলাম ও ইয়াকুব আলী মিঠু। অনুষ্ঠান এর মুল ভাবনা ও সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন।
এর আগে বৈশাখের প্রথম দিনের আয়োজনে ছিল বৈশাখী শোভাযাত্রা, পান্তা ইলিশ দিয়ে আপ্যায়ন ও মেলা।