মন্ত্রী মহোদয় ঠিক কথাই বলেছেন

একেএম শামসুদ্দিন : গত বছর ১২ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তার কিছু বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে-কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

শুধু রাজনীতিবিদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, মন্তব্য করছেন, যা মোটেও শোভন নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছে, আচরণবিধি আছে, সবার সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক।’

ওবায়দুল কাদের যথার্থই বলেছেন। তার এ ধরনের বক্তব্য গভীর চিন্তাপ্রসূত বলেই মনে হয়েছে। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা এমন আচরণ করে বসেন, যা ক্ষমতাসীন দলের জন্য সত্যিই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ মান্য করেই চলা উচিত। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, সরকারি কর্মকর্তারা প্রায় নিয়মিত এই আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা দৃষ্টিকটু মনে হয়। গত ২৬ মার্চ এমন একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তিই যেন দেখতে পেলাম। ঢাকার রাজারবাগ অডিটরিয়ামে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে ওবায়দুল কাদেরের কথাই মনে পড়ে গেল।

সেদিন এ দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যেই বিরোধী দলের নাম উল্লেখ না করে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন যা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, সেদিন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক কর্মকর্তা বলেছেন, “দেশের অর্থনীতির ওপর অবরোধ আরোপ করতে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, জিএসপি বন্ধ করতে চিঠি লিখেছেন। আপনারা রাজনীতি করেন জনগণের জন্য, আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ‘আপনারা কারা, হু আর ইউ?’ কী চান আপনারা?”

এতদিন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-নেত্রীদের বিরোধী দলের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলতে শুনেছি। এখন পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মুখেও একই কথা শুনতে পাচ্ছি, তাতে বিস্ময় জাগে বৈকি! একই অনুষ্ঠানে অপর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আরও তির্যক ভাষায় ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে বলেছেন, ‘একটি পার্টির খুব সিনিয়র এক নেতা বলা শুরু করেছেন, তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। এর চেয়ে হাস্যকর…।

যাকে তার স্বামী পরিত্যাগ করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ওখানে কী করছ…। আর এখন সে নাকি বড় মুক্তিযোদ্ধা।’ সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ ধরনের বক্তব্য রাখা কতটুকু শোভনীয় হয়েছে অথবা বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সরাসরি আক্রমণ করে কথা বলে তারা সাধারণ জনগণের কাছে তাদের পদমর্যাদার সম্মান কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছেন সে প্রশ্ন রয়েই গেছে।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ পোশাকধারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাধারণত পোশাকি ভাষায় বক্তব্য রাখবেন, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বিগত পাঁচ-সাত বছর ধরে বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাবতেও দ্বিধা লাগে।

সম্ভবত এসব কথা বিবেচনা করেই ওবায়দুল কাদের কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ কেবল বর্তমানেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না; বিগত ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে তাদের আচরণে এমন পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতায় আসীন হওয়া নিয়ে তৎকালীন পুলিশের আইজিপির একটি বক্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। তার সেই বক্তব্য জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তখন ফলাও করে প্রচারিত হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে তা অস্বীকার করা হয়েছিল।

এ ধরনের আচরণ শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এ প্রবণতা পুলিশের নিুপর্যায়ের সদস্যদের ভেতরও লক্ষ করা যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থেকে দলীয় স্লোগান দিতে দেখা যায়। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশের উপস্থিতিতে একই মঞ্চে বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে, রিমান্ডের আসামি পুলিশের হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে থানা প্রাঙ্গণেই কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছে।

এখানে দুএকটি ঘটনা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে হয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে, অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিসহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুনের উপস্থিতিতে বক্তৃতা দিতে দেখে গোপালপুরের সাধারণ মানুষ বিস্মিত হয়েছিলেন। অথচ পুলিশের তালিকায় সাইফুল একজন পলাতক আসামি হিসাবে তালিকাভুক্ত ছিলেন।

মরহুম শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গত বছর ৪ আগস্ট দিবাগত মধ্যরাতে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেনকে দলীয় স্লোগান দিতে দেখা গেছে, যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের ভেতর ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, ওসি স্লোগান দিচ্ছেন, ‘শুভ শুভ শুভ দিন, শেখ কামালের জন্মদিন; আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা।’

ওসির এই স্লোগানের সঙ্গে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা কণ্ঠ মেলাচ্ছেন। সরকারের পোশাকধারী কর্মকর্তা হয়ে দলীয় স্লোগান কেন দিচ্ছেন, সাংবাদিকরা ওসিকে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘পুলিশে জয়েন করার আগে তিনি ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন, তাই ভুল করে দলীয় স্লোগান দিয়ে ফেলেছেন।’ গত ৮ মার্চ হত্যা মামলার এক রিমান্ডের আসামি ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল পুলিশের হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে একই জেলার শৈলকুপা থানা প্রাঙ্গণে পুলিশের উপস্থিতিতে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন যা ছিল নজিরবিহীন। রিমান্ডের এই আসামির হাতে হাতকড়াও লাগানো ছিল না।

প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশের থানা পর্যায়ের অফিসাররা এ ধরনের আচরণ কি ইচ্ছা করেই করেন? না মাঝে-মধ্যে বাধ্য হয়েই তাদের এরূপ করতে হয়! পুলিশে কর্মরত আমার পরিচিত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করে যে উত্তর পেয়েছি তা হলো-কেউ কেউ চাকরিতে ভবিষ্যৎ পদোন্নতি জন্য এসব করে থাকেন। একইসঙ্গে নানাবিধ রাজনৈতিক চাপে পড়েও অনেকেই এসব করতে বাধ্য হন। কেউ আবার অতি উৎসাহী হয়ে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। বাধ্য হয়ে যে করেন, তার প্রমাণ আমরা কিছু কিছু ঘটনার মধ্যে দেখতে পাই। ছোট্ট একটি ঘটনার অবতাড়না করলে তা স্পষ্ট হবে বলে মনে হয়।

গত ১০ মার্চ লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারসভায় গমনকালে আওয়ামী লীগ কর্মীদের লোহাগড়া থানার পুলিশ মারধর করলে এ খবরে জনসভায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ হামলার প্রতিবাদ করে ওসিকে জনসভায় এসে ক্ষমা চাইতে সময় বেঁধে দেন। থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন দেরি না করে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগের জনসভা মঞ্চে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

শুধু তাই-ই নয়, ওসি ভরা জনসভায় ক্ষমা চাওয়ার পরও এ হামলার ঘটনায় এসআই আতিকুজ্জামান, এসআই সজল ও পুলিশ সদস্য কালামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশ যদি অন্যায় কিছু করে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করা যেতে পারে।

থানার ওসিকে কেন জনসভায় গিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে? আমরা একবারও কি ভেবে দেখেছি এ ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মনোবলের ওপর কত বড় আঘাত করা হয়েছে? এসব পরিস্থিতি যদি ঊর্ধ্বতনেরা সঠিকভাবে সামাল দিতে না পারেন তাহলে পুলিশ সদস্যদের মোরাল কত নিচু হয়ে যায় তা কি একবারও বিবেচনায় আনা হয়েছে?

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থাকে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলো প্রশাসন। এই প্রশাসন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপবিভাগ হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে প্রধানত পুলিশ সার্ভিসকেই বোঝায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পুলিশ বাদে অন্য বাহিনী থাকলেও মূলত পুলিশই আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

রাষ্ট্রের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আচরণ বিধিমালা মান্য করেই চলতে হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা বর্তমানে এমন এক দুঃসময় অতিবাহিত করছি যে, এসব আইন, বিধিমালা মান্য করার প্রবণতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কম-বেশি সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ খুব গভীরভাবে দলবাজিতে লিপ্ত রয়েছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে নিজের আখের গোছাতে তারা ব্যস্ত থাকেন।

দুষ্টু লোকরা তাই বলে বেড়ায়, এসব সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে কেউ হয়তো চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য এমন আচরণ করে থাকেন! আবার কেউ হয়তো সংগঠনের সর্বোচ্চ পদ দখলের জন্য কর্তৃপক্ষের নজর কাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একটি সংগঠনের মাঝারি কিংবা নিচু স্তরে এমন প্রবণতা দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অধস্তনদের সংশোধন করার সুযোগ থাকে। যদি ঊর্ধ্বতনের ভেতরই এ প্রবণতা দেখা যায়, তাহলে সংশোধনের সুযোগ কোথায়?

এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে গ্রন্থের একটি উক্তির কথা মনে পড়ে গেল, ‘কুইনিন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে?’ ফলবৃক্ষের গোড়া যদি সবল না হয়, তাহলে পরিপুষ্ট ফল হবে কী করে! কাজেই এ ধরনের প্রবণতা সরকার ও সংগঠন উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। সম্ভবত সে কথা উপলব্ধি করেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনেক আগেই সরকারি কর্মকর্তাদের কারও কারও আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে সমালোচনা করেছেন। সেদিন তিনি তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছিলেন, ‘বক্তব্য দেওয়া বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডল বিবেচনা করা তথা সীমারেখা মেনে চলা উচিত। কারও কারও অতি উৎসাহ এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়।’

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

Exit mobile version