মন্দায় ডুবতে চলেছে আমেরিকা? ঋণে জর্জরিত

 

সন্ধান২৪.কম :  বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকার উপর ঋণের বোঝা চেপেছে । পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহ হয়েছে যে, এখন থেকে সামলানো না গেলে ঋণের দায়ে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ডুবে যেতে পারে আমেরিকা। আমেরিকার কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের একটি সাম্প্রতিক ব্যাখ্যায় দেখা গিয়েছে, দেশের মোট ঋণ এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের অনুপাত ক্রমশ বাড়ছে। অর্থাৎ, যত বেশি ঋণ, উৎপাদন তত বেশি হচ্ছে না।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকার ঋণ এবং উৎপাদনের অনুপাত ২০২৩ সালে ৯৮ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ হয়ে ২০৫৩ সালে পৌঁছে যেতে পারে ১৮১ শতাংশে। অন্য একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনুপাত ২২২ শতাংশ ছাড়াতে পারে বলেও দেখানো হয়েছে। কোভিড অতিমারির পর থেকেই আমেরিকার অর্থনীতি নড়বড়ে। ঋণ নিতে নিতে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই সীমা বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আমেরিকার ব্যাঙ্কগুলি লাগাতার সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি করে চলেছে। ঋণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুদ। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আমেরিকার সরকার বিপুল ঋণের দায়ে ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।

আমেরিকায় বর্তমানে সুদের পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০০১ সালের পর থেকে এই পাহাড়প্রমাণ সুদ আর দেখা যায়নি। জুলাই মাসেও এক দফা বৃদ্ধি করা হয়েছে সুদের হার।

ঋণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমেরিকায় সরকারের ঋণের ‘সার্ভিসিং কস্ট’ (ঋণ নিলে সুদ বাবদ বাড়তি যে খরচ হয়) বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এই খরচ ৪৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল।

অথচ, এক বছর আগেই সরকারের ঋণ ‘সার্ভিসিং কস্ট’ ছিল ৩৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের মতে, চলতি বছরে এই খরচ পৌঁছতে পারে ৬৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে।

এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরে সুদ বাবদ আমেরিকা সরকারের খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ ৬ হাজার কোটি টাকা। আমেরিকার বাজার এবং অর্থনীতিতে যার প্রভাব অনিবার্য।

এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমেরিকা অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি পড়তে পারে। ২০২৪ সালের জুন মাস থেকেই মন্দার দিকে এগোতে পারে দেশের অর্থনীতি। বিভিন্ন আর্থিক সমীক্ষার মতে, সেই সম্ভাবনা ৬৭ শতাংশ।

Exit mobile version