মানব মস্তিষ্কের কার্যক্রম মনিটর হবে মহাকাশে

মানব মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে মহাকাশে। মস্তিষ্ক তথ্য নিয়ে কাজ করা ইসরায়েলের ‘ব্রেইন ডট স্পেস’ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ (আইএসএস)-এ মস্তিষ্ক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার যন্ত্র পাঠাবে। যদিও এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে চার বছর আগে। আগামী সপ্তাহে, স্পেসএক্স-এর যে শাটল ফ্লাইট ‘আইএসএস’-এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে, তাতেই নভোচারীদের উপর এ যন্ত্রটি পরীক্ষার জন্য পাঠাবে নির্মাতা।

‘আইএসএস’-এ পরিকল্পিত এ মিশনে বেসরকারি মহাকাশ-ফ্লাইট প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাক্সিওম স্পেস’-এর তিনজন নভোচারী ‘ব্রেইন ডট স্পেস’-এর তৈরি করা বিশেষ এক ধরনের ‘ইলেক্ট্রো এনসেফালোগ্রাম’ (ইইজি)-সক্রিয় হেলমেট ব্যবহার করবেন বলে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানান হয়। ১০ দিনের এ মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম বেসরকারি যাত্রাটি শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। যেটিতে থাকবেন চার জন নভোচারী।

‘ব্রেইন ডট স্পেস’ প্রধান ইয়ার লেভি বলেছেন ‘আমরা জানি যে, ক্ষুদ্র মাধ্যাকর্ষণ পরিবেশের জন্য শরীরের ভেতরের অংশে প্রভাব পড়ে। তাই, এটি হয়তো মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করবে এবং আমরা সেটি পরীক্ষা করতে চাই।’-‘হৃৎকম্পন, ত্বক প্রতিরোধ ক্ষমতা, পেশির ভর এবং শরীরের অন্যান্য অংশের তথ্য সংগ্রহ হলেও এখনো মস্তিষ্কের কার্যক্রম নিয়ে কিছুই হয়নি।’ ‘আইএসএস’-এ ‘ব্রেইন ডট স্পেস’-এর পরীক্ষাটি যোগ হচ্ছে আরও ৩০টি পরীক্ষার অংশ হিসাবে, যেগুলোকে ‘রাকিয়া মিশন’ নামে ডাকা হচ্ছে। চারজনের মধ্যে তিনজন নভোচারী হেলমেটটি পরবেন, এদের একজন ইসরায়েলের আইতান স্টিবে। হেলমেটটির মধ্যে রয়েছে ৪৬০টি এয়ারব্রাশ, যেগুলোর সংযোগ থাকবে মাথার ত্বকের সঙ্গে। দৈনিক ২০ মিনিটের জন্য, তাদের কয়েকটি কাজ করতে দেওয়া হবে, যেগুলোর ডেটা আপলোড হবে স্পেস স্টেশনের ল্যাপটপে। এ কাজগুলোর একটি ‘ভিস্যুয়াল অডবল’, যেটি অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের গতিবিধি শনাক্ত করতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

Exit mobile version