সন্ধান২৪.কম: ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনা বাকশালি স্টাইলে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান। কিন্তু জনতা জেগে উঠেছে,ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক একথা বলেন।
গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় ‘ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং রাষ্ট্র সংস্কার দাবি’তে ফারুক আরও বলেন, শেখ হাসিনা তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বিএনপির মহাসচিব ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যারা বাংলাদেশকে ভালবাসেন, সবুজ পতাকাকে ভালবাসেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন তারা যেন আর ঘরে বসে না থেকে বর্তমান সরকারের পতনের আন্দোলনে যোগ দেন।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ বলেন, এই প্রবাস থেকে নব্বইয়ের স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন করে এরশাদকে এবং ১/১১ তে গঠিত সেনাসমর্থিত কেয়ারটেকার সরকার হটাতেও প্রবাসীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছিল। বর্তমানের আন্দোলনকে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে।
আয়োজক দলের সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ-সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ। আরো বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ)’র সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, মহিলা বিএনপির নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরিন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান ও ওয়াহেদ আলী মন্ডল, স্টেট বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রইচউদ্দিন, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি (উত্তর)’র সাধারণ সম্পাদক এবাদ চৌধুরী, বরিশাল বিভাগ জাতীয়তাবাদি ফোরামের সভাপতি জাফর তালুকদার, স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান, হুমায়ূন কবীর, দেওয়ান কাউসার, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, আশরাফ হোসেন, বদরুল হক আজাদ, এ আর মাহবুবুর রহমান, বাচ্চু মিয়া, হাফিজুর রহমান পিন্টু, জিনাত রেহানা নিরা।