সন্ধান২৪.কম ডেস্ক : ৫ নভেম্বর হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোট শেষ হলেও নয়া প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণের এখনও প্রায় দু’মাস বাকি। কিন্তু, তার আগেই ‘সুপার পাওয়ার’ দেশ জুড়ে পড়ে গিয়েছে হুলস্থূল! জমি-বাড়ি, সব ছেড়ে পালানোর উপক্রম করছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
রিপাবলিকের ক্ষমতা দখলের খবর মিলতেই অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়।
সূত্রের খবর, ট্রাম্প বিদ্বেষীদের অধিকাংশই উত্তরের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কানাডাকে এর জন্য বেছে নিয়েছেন। সেখানে দ্রুত কী ভাবে পৌঁছনো যাবে, তা জানতে শুরু হয়েছে ইন্টারনেটে তথ্যানুসন্ধান।
এ ব্যাপারে বিশেষ একটি বাক্যবন্ধ ব্যবহার করছেন দেশত্যাগে ইচ্ছুক ট্রাম্প-বিরোধীরা। তা হল, ‘কী ভাবে কানাডায় যাওয়া যাবে’ (হাউ টু মুভ টু কানাডা)। ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন গুগ্লে এই কথাটি লিখে তথ্যানুসন্ধান করছেন তাঁরা।
কানাডায় আশ্রয়ের খোঁজ করা আমেরিকানদের অধিকাংশই অভিবাসী বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। আর সেই ভয়েই আগেভাগে তাঁরা দেশ ছাড়তে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে অটোয়া প্রশাসন। কারণ, আমেরিকা ছেড়ে লাখ লাখ অভিবাসী ও শরণার্থীর অবৈধ ভাবে কানাডায় ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথম বার প্রেসিডেন্ট হয়ে অভিবাসীদের একাংশকে দেশছাড়া করেন ট্রাম্প।
ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন গুগ্লের ট্রেন্ড অনুযায়ী, গত ৫ নভেম্বর ‘কী ভাবে কানাডা যাওয়া যাবে’র তথ্যানুসন্ধান এক লাফে ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ট্রাম্পের মূল প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গড় হিসাবে চিহ্নিত রাজ্যগুলির অভিবাসীদের মধ্যে এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি নাড়াঘাঁটা করতে দেখা গিয়েছে।
সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে ওয়াশিংটন, ওরেগন ও ভারমন্ট। এ ছাড়া ‘কানাডায় যাওয়ার জন্য কী কী প্রয়োজন’ (মুভিং টু কানাডা রিকোয়ারমেন্টস) এবং ‘কী ভাবে আমেরিকা থেকে কানাডা যাওয়া যাবে’ (মুভিং টু কানাডা ফ্রম ইউএস) সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধানও হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল অভিবাসী ও শরণার্থী। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁদের বিরুদ্ধে আটলান্টিকের পারের দেশটিতে মৌলবাদ ও ধর্মীয় কট্টরপন্থা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল।অভিবাসী ও শরণার্থীরা আমেরিকাবাসীর পোষ্য কুকুর-বিড়াল কেটে খাচ্ছে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। কুর্সিতে বসলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের যে দেশত্যাগের দরজা দেখানো হবে, তা-ও স্পষ্ট করেন ডোনাল্ড।