Friday, October 31, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Advertisement
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
No Result
View All Result
Home উপ-সম্পাদকীয়

আশুরার বিলের বাঁধবিরোধী আন্দোলন

November 21, 2020
in উপ-সম্পাদকীয়
Reading Time: 1 min read
0
0
0
SHARES
39
VIEWS
Share on Facebook

 

উপ-সম্পাদকীয়

।। পা ভে  ল   পা র্থ ।।

ফগা হাঁসদার কাছে বেশকিছু দিন সাঁওতালি বনবিদ্যা শিখতে গিয়েছিলাম। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরের শারশাবীরে আলোকধূতি গ্রামের বিখ্যাত কবিরাজ তিনি। ক্ষয়িষ্ণু শালবন ঘুরতে ঘুরতে ফগা হাঁসদাই আমাকে প্রথম চেনান দেশের এই আদি জলাভূমি ‘আশুরার বিল’। দেশের অন্যসব আদিবিলের মতোই কত কাহিনী আর আখ্যান জড়িয়ে আছে এই বিলের সঙ্গে। ফগা হাঁসদা জানান, শৈশবে এই বিল ও আশেপাশের জংগল থেকে দাদুর সঙ্গে কত ভেষজ লতাগুল্ম কুড়িয়েছেন। আজ যার কোন চিহ্ন নেই। এত বড় বিল, একটি কাঁকড়াও দেখা যায় না। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্যবাতায়ন জানায়,

‘… দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সদরের উত্তর-পশ্চিমে শালবন আর বনের উত্তর পাশ ঘেঁষেই আশুরার বিল। আয়তন ২৫১.৭৮ হেক্টর। বোরো মৌসুমে স্থানীয় কৃষকরা বিলে ধান আবাদ করে এবং প্রচুর ফলন পায়। আশুরার বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. ২০১৩ সন পর্যন্ত বিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল। সমিতি বিলে ২০ একরের মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করেছে। বিলে প্রতি বছর মৎস্য অধিদপ্তর পোণা ছাড়ে এবং প্রতি দুই বছর পরপর রাক্ষুসে প্রজাতির মাছ ধরে। বিলটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আর ৪/৫ মাসের বেশি মাছ ধরার সুযোগ থাকে না।’

তো এই ঐতিহাসিক আশুরার বিল নিয়ে শুরু হয়েছে আরেক বিবাদ। করোনাকালে যেখানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা জরুরি, দুঃখজনকভাবে সেখানে আশুরার বিলের চারধারের কৃষক নারী-পুরুষেরা এক বাঁধবিরোধী আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য হয়েছেন। আশুরার বিলে সরকার এক বাঁধ দিয়েছেন, কিন্তু পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে আশেপাশের কৃষিকাজ ব্যহত হয়। আবার বাঁধটি সংস্কার হবে, হয়তো আবারও তলিয়ে যাবে কৃষিজমিগুলো। এই আশঙ্কায় কৃষকরা একত্র হয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনের মাধ্যমে জনদাবি তুলে ধরছেন। একটানা কর্মসূচির কারণে অসুস্থ হয়েছেন অনেকে, করুণ মৃত্যু হয়েছে কৃষক গোলাপ সরকারের। কৃষিজমির সুরক্ষায় ‘জীবন নিলে নিয়ে নেন/আমাদের দাবি মেনে নেন/আশুরার বিলে ধান চাষ করতে দেন’ স্লোগান দিতে বাধ্য হচ্ছেন আশুরার বিলের কৃষকরা। বিল-জলাভূমি বনাম উন্নয়নের এই বিবাদ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে সারা দুনিয়ায় বৃহৎ বাঁধের বিরুদ্ধে জন-আন্দোলনের ইতিহাস সুপ্রাচীন। ফারাক্কা, নর্মদা থেকে শুরু করে টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী আন্দোলন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিজমি ও জলাভূমি সুরক্ষা করে উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় এই পরিবেশ প্রশ্নটি আড়াল হয়ে যায়। অপরিকল্পিত অবকাঠামো আর জনভোগান্তিই প্রকট হয়ে ওঠে। কৃষিজমি ও জলাভূমি সুরক্ষায় আমাদের উন্নয়ন চিন্তায় আমূল পরিবর্তন জরুরি। প্রবল জন-আন্দোলনের চাপে মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে রাষ্ট্র সরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। প্রতিদিন কমছে কৃষিজমি, প্রতিদিন উধাও হচ্ছে জলাভূমি। চলনবিলকে আমরা কেটে কেটে টুকরো টুকরো করেছি। গোপালগঞ্জের চান্দারবিল, টাঙ্গাইলের আসিল বিল, কুড়িগ্রামের তাগরাই বিল, বগুড়ার কেশপাথার বিল, গাজীপুরের বেলাই বিল, দক্ষিণের বিলডাকাতিয়া সবই আজ উন্নয়ন যন্ত্রণায় রক্তাক্ত। কিন্তু বিল আর জমিনের মজবুত সুরক্ষা ও জনসম্পর্ক ছাড়া কী বাংলাদেশের কৃষির বিকাশ সম্ভব?

করোনাকালে এইসব মৌলিক প্রশ্নের সুরাহা জরুরি। অপরিকল্পিত কোন অবকাঠামো ও উন্নয়নের চাবুকে ঐতিহাসিক আশুরার বিলকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা অন্যায়। আশুরার বিলের বোরো মৌসুমের ধানের উৎপাদন দিয়ে নাকি বাংলাদেশের আড়াই দিনের ভাতের জোগান হয়। আশুরার মাছ দেশের মৎস্য খাতকে মজবুত রাখছে। আশুরার বিলের বাঁধবিরোধী আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। ক্ষতিগ্রস্ত ও শঙ্কিত কৃষকের কথা শোনা জরুরি। কৃষকের সম্মতি ও বিশ্লেষণে আশুরার বিলের সামগ্রিক উন্নয়নচিন্তা জোরালো করা দরকার। আর এভাবেই তো মহামারি সামাল দিয়ে দাঁড়াতে পারে এক নতুন বাংলাদেশ।

শালবনের এক আদি জলাভূমি

দিনাজপুর বনবিভাগের চরকাই রেঞ্জের চরকাই সদর বিটের অধীন ধানজুরী শালবন। নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে বিস্তৃত এমন আদি শালবনের সাঁওতালি নাম ‘শারশা বীর’। সাঁওতালি ভাষায় বীর মানে জংগল। শারশা বীরের এক অনন্য জলবাস্তুসংস্থান হলো আশুরার বিল। অনেকে বলেন আসিলের বিল। স্থানীয় জনইতিহাস অনুযায়ী আশিটি ডাঢ়া/দাঁড় (জলের নালা) থেকে সৃষ্ট বলেই এর নাম ‘আশুরা’। সিঙ্গের ডাড়া, নাও ডাড়া, পানি ডাড়া, মাড়া ডাড়া, নেংটিহারা, কোদালকাটি, কুচনিরটেক, চেংমাড়ি ডাঢ়াগুলো বিখ্যাত। বিলের উত্তরে হরিপুর মৌজার গ্রাম, দক্ষিণে শালবন, পূর্বে ধূপঘাট ও ডাংগেরঘাট, পশ্চিমে পীরেরদগ, নাওডাঢ়া, পানির ডাঢ়া ও ধানজুরী বনবীট। আশুরার বিলের ধার ঘেঁষে অনেক ঐতিহাসিক, প্রতœতাত্ত্বিক ও স্মৃতিময় পবিত্রস্থল আছে। বুড়িরদত্ত, কাচলাদত্ত, মানিকদত্ত, ধূপঘাট, মনিরথান, কালিরদত্ত, টিপিরদত্ত, পাইলাদত্ত। শারশাবীরে সাঁওতালদের অনেক জাহেরথান (পবিত্র জংগল) আছে। আশুরারবিলের বুড়িমন্টপ এলাকা থেকে চৈত্র মাসেও পানি বের হতো, এখন বন্ধ হয়ে গেছে। সে সব আদি ঝারনা (জলধারা) এখন নেই। আশুরা বিলে শোল, গজার, চিংড়ি, বোয়াল, পুঁটি, টেংরা, পিয়া, কাকলা, কৈ, গচি, শিং এখনও পাওয়া যায়। তবে বিলুপ্ত হয়েছে খড়িকাঠি ও তর মাছ। প্রবীণ সাঁওতালেরা জানান, অনেক আগে এই বিলের কালো কুচকুচে পানিতে তায়ান (কুমীর) দেখা যেত। ছিল ঢুকনো হড়ো ও কাঠ হড়ো নামের কচ্ছপ। আগের দিনে আশুরার বিলে কোন আবাদ হতো না। আমন ও আউশ মৌসুমে বিলের পাথারে আবাদ করতেন সাঁওতালেরা। পরবর্তীতে সেটেলার বাঙালিদের আগম ও বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আশুরার বিলে ধানের আবাদ শুরু হয় এবং চলতি সময়ে বোরো মওসুমে এখানে ব্যাপক চাষ হয়।

বাঁধবিরোধী আন্দোলন

আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি সরকার অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় প্রায় ১৯০০ হেক্টর কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে যায়। এই জমির ৯ ভাগের এক ভাগ মাত্র সরকারি জমি, বাকি জমি ব্যক্তিমালিকাধীন। ৪,৬৯৫ একর জমির ভেতর ৫৮৮ একর সরকারি খাস। বাঁধ নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধ জমিনে কৃষিকাজ ব্যহত হচ্ছে। বাঁধটি নির্মাণের পর জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা বাঁধটি খুলে দেয়ার দাবি জানান। চলতি বর্ষায় বাঁধটি এক বছরেই ভেঙে পড়েছে। জানা যায়, প্রশাসন আবারও বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে। স্লুইসগেট বা পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন সুব্যবস্থা না রেখে আবারও বাঁধটি আগের মতো চালু হলে আবারও জলাবদ্ধ হয়ে যেতে পারে ৪ হাজার ১১০ একর ব্যক্তিগত কৃষিজমি। কৃষিজমি সুরক্ষায় তাই এই বাঁধবিরোধী আন্দোলন। আশুরার বিলের আবাদি জমি রক্ষা ও বিলে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে আশেপাশের কৃষকরা ৩০ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামে। টানা আট দিন ‘অনশন’ ও অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক গোলাপ সরকার (৭৫)। বাড়ি নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অনশনের কারণে অসুস্থ হয়েছেন গফুর আলী, সাদেক আলী, সিরাজুল ইসলাম, আইজুল ইসলাম ও দিলবর আলী।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দূষণ

কেবল অপরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভরাট বা বেদখল নয়; আকুরার বিল বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণেও প্রতিদিন কাতরাচ্ছে। আশুরার বিল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দূরত্ব প্রায় ৩০ কিমি.। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বর্জ্যপানি এখন এই বিলে মেশে। ধীরে ধীরে এখানকার পানি দূষিত হতে শুরু করে এবং অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ পর্যন্ত পানির দূষণ বেশি হয়। কয়লাখনির দূষণের ফলে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর, পাদমপুর, বস্তাপাড়া, হরিপুর এবং বিনায়েতনগর ইউনিয়নের নন্দনপুর, চেরাগপুর ও আমবাহাদুরপুর গ্রামের মানুষ দুর্বিষহ যন্ত্রণা পাড়ি দিচ্ছে। আশুরারবিলের পীরেরদত্ত এলাকায় বৈশাখ মাসে মানুষের মেলা বসে। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার সব ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মানত নিয়ে এখানে আসে। আগেরদিনে বিলের পানি দিয়ে মানুষ জিয়াফতের বাসনপত্র ধুতে পারত, পানি খাওয়াও যেত। কিন্তু এখন দূষিত পানি শরীর চুলকায়।

একজন গোলাপ সরকার

উন্নয়ন বাহাদুরির চাপে যখনই কোন নদী বা জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে তখনি মানুষ গর্জে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষের নদ-নদী, বিল, হাওর, পুকুর, খাঁড়ি, বাঁওড়, দীঘি, ঝরনা, ঝিরি, ছড়া, সমুদ্র সুরক্ষার লড়াইয়ের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। প্রতিনিয়ত দেশের নানা স্থানে প্রতিদিন মানুষ নিজস্ব জলধারা বাঁচাতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। উজানে যখনই অভিন্ন নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে ভাটির বাংলাদেশ তখনই ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ করেছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরেও জলপ্রবাহ বাঁচাতে আন্দোলন অব্যাহত থেকেছে। ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে পদ্মার প্রবাহ বাঁচাতে বাংলাদেশ যে দীর্ঘ গণপদযাত্রা করেছে তা দুনিয়ায় নদী বাঁচানোর প্রথম দীর্ঘ গণমানুষের মিছিল। সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে গড়ে ওঠা ভাসান পানির আন্দোলন পৃথিবীর প্রথম মুক্ত পানিতে জনগণের সর্বজনীন অধিকারের সংগ্রাম। মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ইকোপার্কের নামে ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে আদিবাসী খাসি ও মান্দি জনগণের আন্দোলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ পানিফলক। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে বাংলাদেশ এখনও লড়ছে। টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে গণদ্রোহ অব্যাহত রেখেছে। কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়েছে দীর্ঘ পাহাড়ি সংগ্রাম। প্রতিনিয়ত বিল ও মুক্ত জলাশয়ে জেলে ও গরিব মানুষের প্রথাগত অধিকারের দাবিতে দেশের নানা প্রান্তে আন্দোলন অব্যাহত আছে। নদী বাঁচানোর এ লড়াইয়ে মানুষ জান দিয়েছে, জেলজুলুম খেটেছে, মামলা মোকদ্দমার অন্ত নাই। কিন্তু মানুষ থামেনি। মানুষ লড়ছে, নদীর মুক্ত প্রবাহের দাবিতে। সর্বত্র। তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন, গোমতী রক্ষা আন্দোলন, যমুনা বাঁচাও আন্দোলন, ভবদহ আন্দোলন, বিল ডাকাতিয়া আন্দোলন গুলো সমসাময়িককালে শুধু পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকেনি। হয়ে উঠেছে জীবন ও জীবিকা বিকাশের মৌলিক চিন্তার দলিল। সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত ঘেঁষে কুশিয়ারা নদীতে তৈরি করা হয়েছিল সরকারি প্রকল্পের বাঁধ এর ফলে জকিগঞ্জ থানার বিরশ্রী ইউনিয়নের কিছু কৃষকরা সেচের জন্য পানি পেলেও বরহল ইউনিয়নের মানুষের জমি প্রতি বছর বন্যায় তলিয়ে যেত। বরাক নদী থেকে নেমে আসা বালি ও পলিতে কৃষি জমিগুলো ভরে যায়। বাধ্য হয়ে বরহল ইউনিয়নের নারী পুরুষ সর্বনাশা এই বাঁধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেন। ২৬ জুলাই ১৯৯৩ সালে বরহল ইউনিযনের হাজার হাজার নারী পুরুষ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সীমান্তবর্তী বাঁধ এলাকায়। সীমান্তরক্ষীর গুলিতে শহীদ হন চারজন গ্রামবাসী, আহত হন প্রায় ৫০-এরও বেশি মানুষ। আবারও আশুরার বিলে বাঁধের বিরুদ্ধে কৃষিজমি সুরক্ষায় প্রাণ দিলেন দিনাজপুরের গোলাপ সরকার। গোলাপ সরকারের এই পরিবেশ চিন্তার মৃত্যু নেই। বাঁধবিরোধী মনস্তত্ত্বের ক্ষয় নেই। গোলাপ সরকারের আওয়াজ আমাদের বোঝা জরুরি। উন্নয়নের বাহাদুরিকে প্রশ্ন করা জরুরি। আশুরার বিলের কৃষকের ন্যায্য দাবি এবং প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। সৌজন্যে : দৈনিক সংবাদ

 

Related Posts

উপ-সম্পাদকীয়

দিদারুল ইসলাম: যে মৃত্যু হিমালয়ের চেয়েও ভারী

August 1, 2025
19
উপ-সম্পাদকীয়

জালালাবাদঃ চলছে সংঘাত আর বিদ্বেষের আবাদ : সুব্রত বিশ্বাস

June 15, 2023
79
No Result
View All Result

Recent Posts

  • ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ আমেরিকার ! ট্রাম্পের নির্দেশে ৩৩ বছর পর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা
  • ঘরের শোভা বৃদ্ধি করতে পারে ফল রাখার শৌখিন পাত্র, ধাতব, কাঠ, প্লাস্টিক
  • ‘বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন বানচালের ছক কষছে দেশি-বিদেশি শক্তি !’ হাসিনার বক্তব্যের পরেই মন্তব্য ইউনূসের
  • Zohran Mamdani — Whose Side Are You On? Hindu, Buddhist, Christian, or Muslim?
  • নিউইয়র্কে গণগ্রেপ্তার নিয়ে বিভ্রান্তি, জনমনে আতঙ্ক, ল-ইয়ারদের আয় বাড়ছে

Recent Comments

    Sanjibon Sarker
    Editor in Chief/ President

     

    Weekly Sandhan Inc.
    Address: 70-52 Broadway 1A, Jackson Heights, NY 11372.
    Contact: +1 646 897 9262
    Email: weeklysandhan@gmail.com,
    www.sandhan24.com

    Bimal Sarkar
    Executive Editor
    Contact: +1 512-576-2944

    Quick Link

    • সম্পাদক
    • গ্যালারি

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    No Result
    View All Result
    • Home
    • Login

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    Welcome Back!

    Login to your account below

    Forgotten Password?

    Retrieve your password

    Please enter your username or email address to reset your password.

    Log In
    This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.
    Go to mobile version