সন্ধান২৪.কম ডেস্ক ঃ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বৃহত্তম দু’টি তেলশোধক সংস্থার উপর নয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সঙ্গে ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন, যুদ্ধ বন্ধ হলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এর ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কোর উপর আরও চাপ বাড়াল আমেরিকা। ট্রাম্প এও জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তবে সব নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার করে নেবে আমেরিকা।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে মুখোমুখি বসার কথা ছিল রাশিয়া ও আমেরিকার। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের সেই বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ বার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কোর উপর আরও চাপ বাড়াল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বৃহত্তম দু’টি তেলশোধক সংস্থার উপর নয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সঙ্গে ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন, যুদ্ধ বন্ধ হলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
মার্কিন নিশানায় থাকা দুই রুশ সংস্থার নাম ‘রসনেফ্ট’ এবং ‘লুকঅয়েল’। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোররাতে দুই সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্পের রাজস্ব দফতরের অফিস অফ ফরেন অ্যাসেট্স কন্ট্রোল (ওএফএসি)। মার্কিন রাজস্ব দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তেল বিক্রির টাকা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তাই রাশিয়ার দু’টি বৃহত্তম তেল পরিশোধক সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন ট্রেজ়ারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনের সঙ্গে অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করতে অস্বীকার করেছেন পুতিন। সে কারণেই দু’টি রুশ তৈলসংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল, যারা ক্রেমলিনকে যুদ্ধের মূলধন জোগায়। এ বার যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে।’’
অন্য দিকে, ট্রাম্পের অভিযোগ, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার বিষয়ে আদৌ আগ্রহী নন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘যখনই আমি ভ্লাদিমিরের সঙ্গে কথা বলি, আমার সঙ্গে ওঁর ভাল ভাবেই কথা হয়। অথচ সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না। ওর সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই।’’ বুধবার ওভাল অফিসে নেটো-র প্রধান মার্ক রুটের সঙ্গে এক বৈঠকেও ট্রাম্প সরাসরি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এ বার সময় এসেছে (শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার)। আমরা অনেক দিন অপেক্ষা করেছি।’’
সেই আবহে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প দাবি করেছেন, রুশ তেলশোধক সংস্থাগুলির উপর নয়া নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে অগ্রগতির পথ তৈরি করতে পারে। এই পদক্ষেপকে ‘অসাধারণ’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।


