সন্ধান২৪.কম ডেস্ক ঃ
কাতারে হামলার পর আতঙ্কে আরব দুনিয়া! আঙ্কারার আশঙ্কা, দোহার পর এ বার তাদের নিশানা করবে ইজ়রায়েল।তাই প্রমাদ গুনছে তুরস্কও। ফলে পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতকে নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।
আর তাই এই ইস্যুতে ইহুদিদের সতর্ক করে ইতিমধ্যেই হুঙ্কার ছেড়েছেন সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যের কর্তাব্যক্তিরা। অন্য দিকে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আশ্রয় দিলে তেল আভিভ যে ছেড়ে কথা বলবে না, পাল্টা হুমকিতে তা স্পষ্ট করেছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জেকি আকতুর্ক। তিনি বলেছেন, ‘‘কাতারের কায়দায় আমাদের উপরে বেপরোয়া আক্রমণ শানালে, ইজ়রায়েলকে তার ফল ভুগতে হবে। এতে নিজেদের দেশ তো বটেই গোটা এলাকায় বিপর্যয় ডেকে আনবে ইহুদিরা।’’ তবে তাঁর ওই হুমকি নেতানিয়াহু সরকার যে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে, এমনটা নয়। সূত্রের খবর, হামাসের শীর্ষনেতাদের খুঁজে খুঁজে শেষ করতে অতি সক্রিয় হয়েছে তেল আভিভের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ।
ইজ়রায়েল-তুরস্ক বিবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৪৮ সালে আরব দুনিয়ায় ইহুদি রাষ্ট্রের জন্ম হওয়া ইস্তক এর অস্তিত্ব মানতে অস্বীকার করে আঙ্কারা। শুধু তা-ই নয়, ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’টিকে প্যালেস্টাইনের কট্টর সমর্থক বললে অত্যুক্তি হবে না। তেল আভিভের অভিযোগ, সেই কারণেই দেশের ভিতরে হামাস নেতৃত্বকে আশ্রয় দেওয়া, তহবিল সংগ্রহ এবং সংগঠনের বিস্তার ঘটানোর অবাধ অনুমতি দিয়ে রেখেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। তাঁদের শেষ করতে কাতার মডেলে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ইজ়রায়েলের, বলছে আতঙ্কিত আঙ্কারা।