সন্ধান২৪.কম: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে।
সংঘর্ষে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কোটাসংস্কারের দাবীতে চলমান আন্দোলনের উত্তাল ঢেউ নিউইয়র্ক শহরেও এসে পড়েছে। কোটাসংস্কার আন্দোলনের পক্ষে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার,নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের সামনে, জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকায় প্রায় প্রতিদিন কোটাসংস্কার আন্দোলনের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে। অপর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ শুধুমাত্র জ্যাকসন হাইটসেই তাদের কর্মসূচী পালন করছে।

প্রতিদিন নিউইয়র্ক শহরের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কোটা আন্দোলনকারীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গত ১৭,১৮ ও ১৯ এপ্রিল সন্ধায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় কোটাসংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সমাবেশ হয়। প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক,নিউইয়র্ক বাংলাদেশী ছাত্র অভিভাবকবৃন্দ ও বাংলাদেশী নাগরিক যৌথভাবে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বাসদ সমর্থিত ফোরামের আহ্বায়ক জামান তপন,বিএনপির গিয়াস আহমেদ,সাইদুর রহমান সাইদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা বলেন,ছাত্রসমাজের চাকরিতে কোটা সংস্কারের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে যুক্তি দিয়ে সামাধানের পরিবর্তে সরকার তার স্বৈরাচারী শক্তি দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অঞ্চলে অগনিত ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে। আজ দেশের ও প্রবাসের সব সচেতন, দেশপ্রেমিক মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তারা দাম্ভিক শাসকদের নির্মমতা ও অপশাসন থেকে মুক্তি চায়।
বক্তারা আরও বলেন,যে সরকারের হাতে আমাদের সন্তনেরা নির্মমভাবে খুন হয়েছে সেই সরকারের কাছে খুনের তদন্ত কিংবা বিচার নয়- জনগণ এ সরকারের বিদায় চায়।’
প্রসঙ্গত: কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃহস্পতিবার ব্যাপক সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে। সারা দেশে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২১ জন নিহত হবার খবর দিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।


