সন্ধান২৪.কম : টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষে মিলল দেহের সন্ধান, ডুবের যাওয়ার আগের মুহূর্তে ভয়াবহ বিস্ফোরণ?
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে অতলান্তিকের গভীরে পাড়ি দিয়ে প্রচণ্ড জলের চাপে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’। এবার সেখান থেকে উদ্ধার হল মানবদেহের অংশ। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন উপকূল বাহিনী। উদ্ধার হওয়া মানবদেহের ওই অংশগুলি বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখবেন বলেও জানানো হয়েছে।
মৃত্যু হয় তিন ধনকুবের সহ পাঁচজনের। মহাসাগরের গভীরে ওই সাবমেরিনের অবশিষ্টাংশের খোঁজ মিলেছিল আগেই ।
১১১ বছর আগে অতলান্তিক মহাসাগরে ডুবে যায় দৈত্যাকার জাহাজ ‘টাইটানিক’। মৃত্যু হয় প্রায় দেড় হাজার মানুষের। মহাসাগরের গভীরে টাইটানিকের ধবংসাবশেষ দেখতে অনেকেই পাড়ি দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। ঠিক তেমনই ওশানগেট অভিযাত্রী সংস্থার তৈরি ২১ ফুটের ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’ও যাত্রা শুরু করেছিল ১৮ জুন বিকেলে। কিন্তু অতলান্তিকের গভীরে রওনা দেওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই সাবমেরিনটি।
প্রচণ্ড জলের চাপ সহ্য করতে না পেরে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় টাইটান। মৃত্যু হয় সাবমেরিনে থাকা পাঁচজনের। এসইউভি গাড়ির আকারের ওই ডুবোজাহাজে ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ পল হেনরি, পাকিস্তানি-ব্রিটিশ ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান এবং ওশানগেট সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ। দুর্ঘটনার পরই শুরু হয়ে যায় ডুবে যাওয়া সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কাজ। অতলান্তিকের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে খোঁজ মেলে টাইটানের ধ্বংসাবশেষের। অবশেষে সেই ধ্বংসাবশেষ থেকেই উদ্ধার হল মানবদেহের অংশ। সেগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কানাডার সেন্ট জন বন্দরে। যদিও এ ব্যাপারে কানাডা প্রশাসন কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে, মার্কিন তদন্তকারী দলের প্রধান ক্যাপ্টেন জেসন নিউবাউয়ার জানিয়েছেন, কীভাবে টাইটানের বিপর্যয় ঘটল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে আরও অনেক তথ্য অনুসন্ধান বাকি।