ট্রাম্প-হ্যারিস বিতর্কে নাটক কম চান ভোটাররা

সন্ধান২৪.কম: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বশেষ টেলিভিশন বিতর্কে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী একে অপরকে বাক্যবাণে ঘায়েল করেছিলেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন। সেই বিতর্ক পাল্টে দিয়েছে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি দৌড়ের দৃশ্যপট।

বিতর্কে ট্রাম্পের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয় মাথায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তার জায়গায় এসেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম সরাসরি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে চলেছেন কমলা হ্যারিস। এ বিতর্ক দুই দলের জন্যই ভোটারদের সামনে তাদের করণীয় বিভিন্ন বিষয়, অর্থাৎ নিজ নিজ নীতি তুলে ধরার একটি সুযোগ।

ট্রাম্প ও হ্যারিসের এই বিতর্ককে ভোটাররা কেমন দেখতে চায় তা জানতে চেয়ে বিবিসি গোটা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাতে ভোটাররা স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছে, তারা রাজনৈতিক ঝগড়া কম দেখতে চায়; আর নীতিমালা বিষয়ক বক্তব্য বেশি শুনতে চায়।

ট্রাম্প-হ্যারিস বিতর্ককে ঘিরে এইসব ভোটারদের সাতজন কী আশা করছেন তা তুলে ধরেছে বিবিসি:

রবার্ট অলিভার (রিপাবলিকান পার্টি)

উটাহ রাজ্যের বাসিন্দা ২৭ বছরের তরুণ রবার্ট অলিভার একজন রিপাবলিকান। কিন্তু ২০২০ সালে তিনি জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। এ বছর নভেম্বরে ফের ট্রাম্পের পক্ষে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। অলিভার বলেন, তারা কী করতে চলেছেন আমি সেটি দেখতে আগ্রহী।

কমলা হ্যারিস সম্প্রতি খুব বেশি সাক্ষাৎকার দেননি এবং ট্রাম্পের বিপরীতে তার অবস্থান অনেকটা দেবে আছে উল্লেখ করে অলিভার বলেন, এবার ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে বিতর্কে হ্যারিস কেমন করেন, তাও দেখতে চান।

“আমি দেখতে চাই, তিনি (হ্যারিস) প্রস্তুতি ছাড়া এবং প্রম্পটারের কাছ থেকে পড়তে পারা ছাড়া বিতর্কে কেমন করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে তিনি কত দ্রুত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন,” বলেন অলিভার।

ড্যানিয়েল ক্রামরিন (ডেমোক্র্যাটিক পার্টি):

কলোরাডোর বাসিন্দা ২৮ বছরের ড্যানিয়েল ক্রামরিন গতবার জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি অধীর আগ্রহ নিয়ে ট্রাম্প-হ্যারিস বিতর্ক দেখার অপেক্ষায় আছেন।

এই যুবক বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, কী হতে চলেছে আমি তা জানি। আমি জানি, কমলা হ্যারিস দক্ষ বিতার্কিক। আমি এখনও চার বছর আগে তার এবং মাইক পেন্সের বিতর্কের কথা মনে করতে পারি।

“আমি ট্রাম্পের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় আছি। মঞ্চে কেউ একজন সত্যিকারের বিরোধী শক্তি হয়ে তাকে (ট্রাম্প) সরাসরি পাল্টা জবাব দিতে পারে, এমন কাউকে পেয়ে আমি খুশি।”

বিতর্কে ট্রাম্পের দ্রুত কথা বলা এবং একসঙ্গে অনেক কথা অনেক দ্রুত বলে ফেলার বিষয়টিকে হ্যারিসের জন্য সবচেয়ে বড় ফাঁদ বলে মনে করেন ক্রামরিন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের বলা কথার মধ্যে কথার মধ্যে জড়িয়ে পড়া সহজ। আশা করি, কমলা এর মধ্যে ডুবে যাবেন না। ট্রাম্পের মুখোমুখি হয়েও তিনি নিজের আশাবাদী ও ইতিবাচক বার্তা ধরে রাখতে পারবেন।”

 

Exit mobile version