ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় শস্যদানা

সন্ধান২৪.কম: মাংস ও দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্তে মটরশুটি ও বাদামজাতীয় সব ধরনের শস্যদানাজাতীয় খাবার ও অন্যান্য তেলের বিকল্প হিসেবে অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের ওপর খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণায় সম্প্রতি এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গার্ডিয়ান খবর বলছে, জার্মানির গবেষকরা লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস, মুরগি, মাছ, ডিম এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন মটরশুটি, বাদাম, শস্য, তেল, ফল ও শাকসবজিতে পরিবর্তন করার সুবিধা সম্পর্কিত ৩৭টি প্রকাশিত গবেষণা মূল্যায়ন করেছেন। তারা বলছেন, যাদের লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে উদ্ভিজ্জ খাবার পছন্দ হয়, তাদের হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটা কমে আসে।

ডুসেলডর্ফের জার্মান ডায়াবেটিস সেন্টারের গবেষণার একজন সিনিয়র লেখক বলেন, গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যগুলোতে লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস, ডিম, দুগ্ধ, হাঁস-মুরগি এবং মাখনসহ প্রাণিজ খাদ্যের বদলে বাদাম, লেবু, গোটা শস্য ও অলিভ অয়েলে মতো উদ্ভিজ্জ খাবারের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছে।

দিনে ৫০ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসের বদলে বাদাম বা শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কমে আসবে। ডিমের বদলে ২৫ গ্রাম বাদাম খেলে এ রোগের ঝুঁকি কমতে পারে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত। তবে মুরগি বা মাছের পরিবর্তে বাদাম বা লেবু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, এমন কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। অবশ্য প্রতিদিন ৫০ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংসের বদলে ২৮ গ্রাম বাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে আসে বলে সম্মত হয়েছেন তারা।

বিএমসি মেডিসিনের গবেষণা অনুসারে, হ্যাম, বেকন, সসেজ বা হটডগে ব্যবহৃত মাংসগুলো প্রক্রিয়াজাত মাংস। এ ধরনের ৫০ গ্রাম মাংসের বদলে ২৮-৫০ গ্রাম বাদাম খেলে কিছু কিছু রোগের ঝুঁকি এবং এ থেকে সৃষ্ট মৃত্যুঝুঁকি ২১ শতাংশ পর্যণ্ত কমে আসে।

Exit mobile version