সন্ধান২৪.কম ডেস্ক : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে এক জন প্রার্থী খরচ করতে পারেন ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ১০০০ কোটি টাকা) ।
এ বার তহবিল সংগ্রহেও প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিলেন কমলা হ্যারিস। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে কমলার প্রচার তহবিলে মোট ৪০ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার (প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা) জমা হয়েছে। ট্রাম্পের তহবিলে ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার (প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা)।
আমেরিকার প্রোসডেন্ট নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে এক জন প্রার্থী ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৮৪০০ কোটি টাকা) খরচ করতে পারেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নেতৃত্ব বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘পরিবর্ত’ হিসাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলার নাম ঘোষণার পর বাড়তে শুরু করেছে দলের জনসমর্থন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনুদানের অঙ্কও।
পরিসংখ্যান বলছে মূলত অগস্ট মাসে তহবিল সংগ্রহের অঙ্কেই ট্রাম্পকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধু অগস্ট মাসে কমলা ৩৬ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। আগস্টে ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান পার্টির সংগ্রহ মাত্র ১৩ কোটি ডলার। গস্টে কমলার ১৩ লক্ষ নতুন দাতার তিন-চতুর্থাংশই ২০২০ সালের নির্বাচনে কোনও আর্থিক অনুদান দেননি। দাতাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই নারী। এমনকি, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে ১ দাতা ঘোষিত রিপাবলিকান বা ‘দলহীন’ ব্যক্তি!
আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রবণতা বজায় থাকলে হোয়াইট হাউসে প্রথম কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট আসীন হবেন বলে ভোট একাংশের ধারণা।