তাইওয়ানের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি কমানোর চুক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য বেইজিং বারবার ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানিয়েছে আসছে। এই চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে চীন।
১৯৮২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান অস্ত্র বিক্রি ক্রমাণয়ে কমিয়ে দিতে সম্মত হন। কিন্তু এটা তাইওয়ানের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের প্রতিশ্রুতি’র উপর নির্ভর করবে বলেও শর্ত দিয়েছিলেন তিনি।
কয়েক দশক ধরে, তাইওয়ানের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রির হার ব্যাপকভাবে ওঠানামা করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তাইওয়ান সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে ১৯৯২ সালে তাইওয়ানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লি তেং-হুই’র আমলে। সেসময় স্বাধীন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করেছিল তাইওয়ান।
এরপর ২০০৭ সালে তাইওয়ান তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দেশটির অস্ত্র কেনাও বেড়ে যায়।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির তিনটি পৃথক চুক্তি হয়।
তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
অবশ্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন পর্যন্ত তাইওয়ানের সঙ্গে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র বিক্রির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। সূত্র: বিবিসি