
সন্ধান২৪.কম প্রতিবেদন ঃ নিউইয়র্কে অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট(আইস)-সোসাল মিডিয়াতে এমন কিছু বিভ্রন্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। এমন গুজব ছড়ানো ফলে নিউইয়র্কে জনমনে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে।

‘নিউ ইয়র্কে অভিযান জোরদার করার হুঁশিয়ারি’, ‘নিউইয়র্কে গণহারে গ্রেফ.তার চলছে’, “কাগজ-পত্রহীন”, “অবৈধ অভিবাসী সাবধান”, “গ্রেপ্তার এড়াতে আইনজীবির কাছে পরামর্শ নিন” সোসাল মিডিয়ায় এমন উদ্দেশ্যমূলক খবর ছাপা হচ্ছে। এর ফলে অনেক আইনজীবির আয়-ইনকাম বাড়ছে বলে জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চায়না টাউন থেকে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার অন্তত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। নকল পণ্য বিত্রিু, জালিয়াতি, মাদকদ্রব্য পাচার,আইন শৃঙৃ্খলা পরিস্থিাতিকে অশান্ত করার মত অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং ২৪ ঘন্টা পর তাদেরকে ছেড়েও দেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশী সোসাল মিডিয়ায় খবর প্রচার করা হয় ‘কাগজ-পত্রহীন’ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যা সম্পূর্ণ ভূঁয়া তথ্য ছিল।
কিছু কিছু ‘ইউটিউবার’ ও ‘ফেসবুকার’ এমন ভাবে শিরোনাম লেখেন পাঠকরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। তারা বুঝতে পারেন না অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার না নানা অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ দিকে নিউইয়র্কে বাঙালির রাজধানী হিসেবে খ্যাত জ্যাকসন হাইটস থেকে গত পরশু ‘৩ জন অবৈধ গ্রেপ্তার’,করা হয়েছে। কি কারণে,কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা এখনও জানা যায় নাই।
এ ব্যাপারে আরকে লস্কর মিঠু ফেসবুকে মন্তব্য করেন, ‘আমি সহ আমরা যারা এ এলাকার বাসিন্দা সবাই আমরা জানি এবং কেউ কেউ ছিলাম তিনজন স্প্যানিশ পথচারীকে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে আইস সদস্যরা গ্রেফতার করে।”
এজেড হেদায়েত বলেন,‘মিথ্যা কথা, যারা অবৈধ, বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সাথে জড়িৎ, আদালত যাদের পূর্বেই চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করছে।”
নিইউ ইয়র্ক সিটির চায়নাটাউনের ক্যানাল স্ট্রিট এলাকায় মঙ্গলবার ফেডারেল এজেন্টদের যৌথ অভিযান ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও বিক্ষোভের জন্ম দেয়। নিউ ইয়র্কের অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর মধ্যেও এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আইস প্রধান ডডল্যানড বলেছেন শহবে এই ধরনের অভিযান আরে চালানো হবে। সম্পুর্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হচেছ।
গত কয়েক দিনে নিউইয়র্ক থেকে বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।এর আগেও শহরের বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা।এর মধ্যে কিছু গ্রেপ্তার ছিল কাগজপত্র হীন অবৈধ অভিবাসীদের। আর কিছু ছিল নিয়মিত অভিযানের অংশ ছিল। কিছু খবর সঠিক নয়, বরং অতিরঞ্জিত ছিল বলে জানা গেছে।
কমিউনিটির একজন সমাজ সেবক এই প্রতিবেদককে বলেন,নিউইয়র্কে কেমন করে শুধু বাঙালি অ্যারেস্ট হয় ? কাগজ বিক্রি করার ফন্দি কি ? তিনি বলেন,আমি জেনেছি বাঙালি বেশ কয়জন ল-ইয়ার অসহায় অবৈধ্যদের ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা কামানোর জন্য ধান্ধা শুরু করেছে। বলছে সবকে ধরে পাঠিয়ে দেবে জলদি করে আমাদের কাছে আসেন, কাগজ ঠিক করে আবেদন করেন।
‘নিউইয়র্কে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার’ এমন খবর প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই দুই/একজন আইনজীবিকে ফেসবুকে ‘অভয়বাণী’ দিতে দেখা যায়। ল-ইয়াররা সকল সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের সাথে দেখা করার পরামর্শ দেন।


