সন্ধান২৪.কম: দুইবাংলার পাঠকপ্রিয় ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সিক্ত হলেন । কানাডা থেকে সস্ত্রীক নিউইয়র্ক সফরে এলে গত ২৩ মার্চ হিলসাইডের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই ছড়াকারকে ছড়াটে-র পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রিয় ও গুণী মানুষটি ও রিটন পত্নী শার্লি রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। একই অনুষ্ঠানে কেক কেটে রিটন-শার্লি দম্পতির ৪৩ বছর বিবাহবার্ষিকী পালন করা হয়।

ছড়াটে-র কার্যক্রমের প্রশংসা করে লুৎফর রহমান রিটন বলেন, আমি মনে করি আমিও ছড়াটে-র একজন সদস্য। ছড়াকারসহ বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্খী যারা তাঁকে ভালোবাসেন, পছন্দ করেন তারা তাঁর বর্ধিত পরিবার। মাতৃভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে তাঁর আবেগ জড়িত। এই দুই বিষয়ে তিনি কারো সাথে আপোষ করেন না। তিনি যা ধারণ করেন সেটাই তাঁর কলম গলিয়ে বেরিয়ে আসে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কলম সবসময় সোচ্চার।
তিনি তাঁর লেখালেখির দীর্ঘ সফরের কথা বর্ণনা বলেন -একটা সময় তিনি চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। সেই দুঃসময়ের শার্লি তাঁকে ছেড়ে যাননি, বরঞ্চ সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছিলেন। এরপর তিনি উঠে দাঁড়ানোর গল্প বললেন। বিত্ত না থাকলেও চিত্তে কিভাবে সম্পদশালী হলেন তার গল্প বললেন। তিনি বলেন, এক জীবনে আমি শুধু ছড়াকেই ভালোবেসেছি।

রিটন পত্নী শার্লি বলেন, রিটন শুধু একজন ভালো লেখক বা ছড়াকার নন, তিনি একজন পরিবারবান্ধব লোক, ভালো স্বামী এবং ভালো বাবাও। যেকোনো মূল্েয তাঁকে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন।
ছড়াকার শাম্স চৌধুরী রুশোর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমাদ মাযহার, গল্পকার নসরত শাহ, কবি মিশুক সেলিম, ছড়াকার মনজুর কাদের, খালেদ সরফুদ্দীন, সজল আশফাক, শাহীন দিলওয়ার, মানিক রহমান, মিনহাজ আহমেদ, আদিত্য শাহীন,রিপন শওকত, মৃদুল আহমেদ, লেখক-চিকিৎসক শিমুল সিকদার, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট লায়লা খালেদা, সাংস্কৃতিককর্মী সাঈদা উদিতা প্রমুখ।


