সন্ধান প্রতিবেদন
পিকনিককে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে বাঙালি কমিউনিটির বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। এর ফরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির শান্তি-স্বস্থি কেড়ে নিয়েছে।
পিকনিকের মওসুম আসলেই নিউইয়র্কে বাঙালি কমিউনিটিতে চাঁদাবাজির ঘটনা লাগামহীন ভাবে বেড়ে যায়। নীরবে-সরবে এই চাঁদাবাজির মহোৎসবে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশাজীবিরা চরম বিপাকে পড়ছেন। অনেকের কাছে চাঁদাবাজী ‘অসহনীয় বোঝা’ হয়ে দাড়িয়েছে। চাঁদাবাজি বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন পড়েছেন। দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে চাঁদাবাজরা।
সামার আসলেই নিউইয়র্কের সমস্ত জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে। গ্রোসারী,সিপিএ,আইনজীবি,হোমকেয়ার, ডাক্তার,উকিল,সমাজসেবী কেউ এই চাঁদাবাজীর কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। এমন কি মানুষের বাড়ি বাড়িতে গিয়েও চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য এতটাই চরমে উঠেছে যে তাদের অত্যাচারে অনেকেই মুখ লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
চাঁদাবাজের প্রথম তালিকায় আছে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। এর পর বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠন।
চাঁদাবাজরা প্রকাশ্য বা প্রচ্ছন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। আমরা আপনার ‘কাষ্টমার’ আমার কয়েকজন আপনার ‘হোম কেয়ারের ক্লায়েন্ট’ আপনার ‘রোগী’ এমনি নানান বাহানা দিয়ে চাঁদাদাতাদের দূর্বল করেন। তারাও বাধ্য হয়ে কাষ্টমার যাতে নষ্ট না হয় চাঁদা দেন।
একজন এর্টনী আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিদিন বেশ কয়েকটি সংগঠন চাঁদা নিতে আসে। তাদেরকে না বললে এমন ভাবে কথা বলেন মুখ রক্ষা ও লাজ-লজ্জার ভয়ে চাঁদা দিতে হয়।
চাঁদাবাজেরা এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, আমি সব সময় আতঙ্কে থাকি-এমন কথা বললেন একজন প্রতিষ্ঠিত হোম কেয়ার ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, এদের দাপটে অফিস করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। কিন্ত তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না,চাঁদাবাজরা চাঁদা নিতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে ফোন করে চাঁদা চাচ্ছে।
জোর করে চাাঁদা নেওয়াটাও এক ধরণের সন্ত্রাস বলে মন্তব্য করেন একজন রাজনীতিক। তিনি বলেন, জোর-জবরদস্তি করে চাঁদাবাজী বন্ধ না হলে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন।
চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্কে কন্ঠশিল্পী, সাপ্তাহিক আজকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রানো নেওয়াজ। তিনি সামাজিক মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন ‘যত্রতত্র পিকনিক আমাদের একটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁডিয়েছে।’
নিউইয়র্কে পিকনিককে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে
`জোর করে চাাঁদা নেওয়াটাও এক ধরণের সন্ত্রাস'

প্রতীকী ছবি