সন্ধান২৪.কমঃ যুগল শিল্পীর কবিতা ও গানে ‘অভিলাষী ভ্রুণ-২’ শীর্ষক এক অনন্য অনুষ্ঠান হয়ে গেল উড সাইডের কুইন্স প্যালেসে।সন্ধান২৪.কমঃযুগল শিল্পীর কবিতা ও গানে ‘অভিলাষী ভ্রুণ-২’ শীর্ষক এক অনন্য অনুষ্ঠান হয়ে গেল উড সাইডের কুইন্স প্যালেসে।

গত ২২ জানুয়ারী রোববার বৃষ্টি ভেজা সন্ধায় সাংস্কৃতিক কর্মী আবীর আলমগীর ও কান্তা আলমগীরের গানে ও কবিতায় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা বিমুগ্ধ হয়ে যান।
মিলনায়তন পরিপূর্ণ অনুষ্ঠানে কান্তা আলমগীর ১৩ গান,আবীর আলমগীর ৭ টি কবিতা এবং দ্বৈত ভাবে ৪ কবিতা-গান পরিবেশন করেন। কান্তা আলমগীরের কন্ঠে ধ্বনীত হয়,দেশগান,রাগ সঙ্গীত,রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুল গীতি। আর আবীর আলগীররের কন্ঠে উচ্চারিত হয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়,শামসুর রাহমান,রফিক আজাদ,বুদ্ধদেব বসু,নির্মলেন্দু গুন,হেলাল হাফিজ,মহাদেব সাহা ও আবুল হাসানের বিখ্যাত কবিতা।
কান্তা আলমগীরের ‘ও আমার দেশের মাটি’ দেশ গানটি দিয়ে অনুুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে কান্তা আলমগীরের ‘ও আমার দেশের মাটি’,‘সেই যে চলে গেল’,‘ও যে মানে না মানা’,‘দোলনচাঁপা বলে দোলে’,‘যে ভাবেই বাঁচি বেঁচে আছি তো’ ‘যদি ভালোবাস আমি মেঘ হবো’,‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’,গান উপস্থিত সুধীজনের হৃদয় স্পর্শ করেছে।

উৎসব গ্রুপের আয়োজনে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও অনুষ্ঠান বিন্যাসে ছিলেন শিল্পী দম্পত্তি আবীর আলমগীর ও কান্তা আলমগীর। যন্ত্র সঙ্গীতে অংশ নেন রাজীব রহমান,নাঈম,আকাশ আহসান ও অক্টোপ্যাডে তুষার রঞ্জন দত্ত। শিল্প নির্দেশায় বিউটি দাস প্রজেক্ট ও শব্দ-লাইটে নিবির খান ছিলেন।
উল্লেখ্য , ছোটবেলা থেকেই কান্তা আলমগীরের গানে হাতখড়ি। নজরুল সঙ্গীতে সাবলিল হলেও অন্যান্য শাখাতেও তার অবাধ বিচরণ। পেশায় আর্কিটেক কান্তা নিউইয়র্কের সংস্কৃতির ভূমিকে সমৃদ্ধ করেছেন। ২০০৫ বিয়ে করেন আর এক গুণী শিল্পী আবীর আলমগীরকে।
অন্য দিকে আবীর আলমগীর নিউইয়র্কে অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ড্রামা সার্কেলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও ছোট বেলা থেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতির অঙ্গনে সম্পৃক্ত। ছাত্র রাজনীতি,গান-কবিতা,বির্তক, মঞ্চনাটকসহ শুদ্ধ সংস্কৃতির সব শাখায় রেখেছেন অসামান্য অবদান।