সন্ধান২৪.কমঃ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তের আর্বিভাবকে মনে করেন ‘নবীন’ ‘নূতন প্রাণের’ সমাগত বিশ্ব। যেখানে প্রকৃতি নিত্য নবরূপে সাজ সজ্জায়, পাখির কলতানে মাতিয়ে রাখে। সেই ১৩১৩ বঙ্গাব্দ থেকে শান্তি নিকেতনে বসন্তোৎসব পালিত হয়ে আসছে। শ্রীপঞ্চমী এখনো উদযাপিত হয়। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দোলের দিন বসন্তোৎসব পালিত হয়। রবীন্দ্রনাথ এই উৎসবকে ঋতু উৎসব পর্যায় ভুক্ত করেন। ‘বসন্তে কবি’ রে দাও ডাক’ শীর্ষক রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যায় অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এমন কথা বলেন।

প্রকৃতি,নিউইয়র্কের আয়োজনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে হয়ে গেল গত ২৮ মে রোববার জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে এই বসন্ত উৎসবে প্রায় অর্ধশত শিল্পী ও কলাকুশলীর নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশনায় আয়োজনটি ছিল দর্শক নন্দিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আয়োজনের উদ্দেশ্য এবং রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীল কাজের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল নাজমুল আহসান,বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অনুপ বড়ৃয়া, রিয়েলেটর আনোয়ার আহমদ ও সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমদ।
রবীন্দ্রনাথের একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জলি কর,জয়ন্তী আচার্য্য জয়া,মিনি কাদির,রুপালী ঘোষ,দিতি হাসনাত,মুক্তি সরকার প্রমূখ।
পাঠ ও আবৃত্তিতে অংশ গ্রহন করেন স্বাধীন মজুমদার,অসীম সাহা ও নাজনীন সিমন। নৃত্য পরিবেশন করেন চন্দ্রিমা দে।
দলীয় সঙ্গীতে ছিলেন মৃনাল ঘোষ,চন্দ্রিকা দাস সেজুতি,প্রসুন ঘোষ রায়,সোনিয়া মোত্তালিব,চম্পা কলি দে,জোসিফিন মিষ্টি, জলি কর,জয়ন্তী আচার্য্য জয়া,মিনি কাদির,রুপালী ঘোষ,দিতি হাসনাত ও মুক্তি সরকার। যন্ত্রসঙ্গীত ছিলেন পিনাক পিনাকী গোস্বামী,মাসুদ রানা ও মনতোষ দে মিথুন।
পুরো অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন রেজা রহমান।
মঞ্চ সজ্জা ও পরিকল্পনায় মৃনাল ঘোষ ও অমিত দে,গ্রন্থনা নাজনীন সীমন ও অসীম সাহা এবং সহযোগিতায় ছিলেন পূর্ণচন্দ্র মুখার্জী,প্রসূন ঘোষ রায় ও স্বাধীন মজুমদার।