প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুর অবহেলিত,সাজ্জাদ নিরবে আসলেন-গেলেন

সন্ধান২৪.কম: ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে নিউইয়র্ক মেরিলট মারকিউস হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনা অনুুষ্ঠানে এসেছিলেন দল থেকে বহিস্কৃত সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এক সময়ের দাপুটে এই নেতা শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিরবে আসলেন এবং নিরবেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন। তার সাথে কেউ কুশল বিনিময় করলেন না। তার আশপাশেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দেখা গেল না।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে মাইকেই কিছু বলছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান

অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি নাগরিক সংবধর্না অনুষ্ঠানের মঞ্চে শুধু বসে ছিলেন । কোন রকম বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পান নাই। ফলে মঞ্চে বসে থাকা প্রধানমন্তীর আসন থেকে অনেক তফাতে থেকে তাকে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে হলো। তার সামনেই তার একধাপ নিচের পদে থাকা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির উপস্থিতিতে. সহসভাপতি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করাটা ড. সিদ্দিকুর রহমানের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়েছে বলে উপস্থিত অনেকেই মন্তব্য করেন।

সিদ্দিকুর রহমানকে নাগরিক সংবধর্না শুরা হওয়ার আগে কয়েকবার মাইকে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলে, দইয়ের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন বলে অনেককেই বলতে শোনা গেছে।

সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সন্ধা ৬টার দিকে নাগরিক সংবর্ধনার মিলনায়তনে এসে উপস্থিত হন। এসময় তিনি মিলনায়তে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেন। কিন্ত কোন নেতা-কর্মীকে তার কাছে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নাই। কিংবা কারো সাথে তার কথা বলার দৃশ্যও চোখে পড়ে নাই। এক সময় সাজ্জাদ দর্শকসারির প্রায় শেষের দিকের চেয়ারে বসে পড়েন। এসময় তাকে খুব বিমর্ষ দেখা যাচ্ছিল। শেখ হাসিনার ভাষণ শেষ হলে তিনি যেমন নিরবে এসেছিলেন,তেমনি খুব নিরবেই সভাস্থল ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গতঃ প্রায় একযুগ আগে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিতে ড. সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। পরবর্তীতে সাংগঠনিক অনিয়মের অভিযোগে সাজ্জাদ সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান। সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ পদচ্যুত হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।

Exit mobile version