সন্ধান২৪.কম: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও নাগরিক সংবর্ধনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে চরম দ্বন্দ্ব । চলছে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন,টাউন হল মিটিং এবং সভা-সমাবেশ।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে শুরু হয়েছে একে অন্য পক্ষকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের প্রতিযোগিতা।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের অপর অংশ ( জাকারিয়া-সুব্রত) যুক্তরাষ্ট্র
প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় নির্দেশ কোন দল পাবে, তা এখনও তা এখনও স্পষ্ট না হওয়ায় এই প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে। এদিকে উভয় পক্ষ আলাদা ভাবে নাগরিক সংবর্ধনার পোষ্টার ছাপিয়ে প্রচার চালাচ্ছে।
গত ৩১ আগষ্ট সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশ (রফিক-ইমদাদ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন ড. সিদ্দিকুর রহমান।

মহানগর আওয়ামী লীগের এই ঘোষনায় প্রতিবাদ জানিয়ে, গত ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগকে আক্রমণ ও তীব্র সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে প্রায় পুরো সময় ব্যয় করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা আমাদের না জানিয়ে,আমাদের পরামর্শ না দিয়ে একক ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সংবধর্না দেয়ার ঘোষনা দিয়ে দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছে। এসময় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমার আকাশ থেকে নেমে আসি নাই, মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটিকে আমি স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়েছি। তাই গায়ের জোরে এককভাবে এ রকম সিদ্ধান্ত নিলে পরিনাম ভালো হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুর রহমান উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে ছেলেমী করেছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রায় আড়াই মাস আগে সংবধর্নার জন্য আমি হোটেল ভাড়া নিয়েছি। আমাদের নেত্রীকে সুুন্দর-সুশৃঙ্খল ভাবে সংবধর্না দেয়ার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগে কোন লোকবল বা সাংগঠনিক দক্ষতা নাই। তাই আমাদের নেত্রী, আমাদের অভিভাবক শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসলে, তার পরামর্শ অনুযায়ীই সংবধর্না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা শেষে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নির্দেশনা রয়েছে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ এবার প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করবে। তা মেনে নিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একই মত প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী (ইমদাদ)।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে নিউইয়র্কের পৌঁছে বেশ কয়েকটি সভা-সমাবেশ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও নাগরিক সংবর্ধনা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুগ্রæপের মধ্যে যে তীব্র লড়াই ও দ্ব›েদ্বর প্রভাব পড়ছে সাধারণ কর্মীদের ওপর। তারা বিভ্রান্তি ও এবং হতাশার মধ্যে পড়েছেন।
শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান না হলে গত কয়েক বছরের মতো এবারও সরাসরি নয়, ভার্চুয়াল সংবর্ধনার ঘোষণা আসতে পারে বলে, দলীয় হাইকমান্ডের থেকে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।