সন্ধান২৪.কম ডেস্ক ঃ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করেছে অন্তবর্তী সরকার । এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বুধবারই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন বয়কট করবেন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন হাসিনা।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না-দেওয়ায় পরিকল্পিত ভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হতে পারে! এ বার আশঙ্কা প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর আরও দাবি, এর নেপথ্যে হাত থাকতে পারে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির। কিন্তু যত ঝড়ঝাপটাই আসুক না কেন, তা অতিক্রম করবে বাংলাদেশ।
বুধবার সে দেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ কথা বলেছেন ইউনূস। বাংলাদেশের ১৩তম সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘ছোট শক্তি নয়, বরং বড় কোনও শক্তি এ বারের নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে। আচমকা আক্রমণ নেমে আসতে পারে। এই নির্বাচন বেশ কঠিন হতে চলেছে। কিন্তু যত ঝড়ঝাপটাই আসুক না কেন, আমাদের সেটা পেরোতে হবে।’’ ইউনূস আরও বলেন, দেশের ভিতর ও বাইরের নানা শক্তি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দেওয়ার কারণেই নেমে আসতে পারে এই আক্রমণ।
প্রসঙ্গত, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে বুধবারই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন বয়কট করবেন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন হাসিনা। এ-ও জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা যদি ভোট না-দেন, তা হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শামিল হবেন না। যে দলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, সেই সরকার আওয়ামী লীগকে স্বীকৃতি না-দিলে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন না বলেও জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সুত্র ঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
