সন্ধান২৪.কমঃ কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো আরো একটি বছর,বিদায় খ্রীষ্টাব্দ ২০২২, স্বাগত ২০২৩।
‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা/…বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর ঘড়ির কাঁটা ১২টা অতিক্রমের সাথে সাথে শুরু হবে নতুন বর্ষ গণনা। নতুন বছরে নতুন করে জেগে ওঠবে মানুষের প্রত্যাশা।
বহু অম্ল-মধুর স্মৃতি আর ঘটনা পেছনে ফেলে, প্রত্যাশার এক স্বপ্নবাজ ক্যালেন্ডার নিয়ে এলো নতুন বছর, ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ।
অসীমের পানে মহাকালের যে যাত্রা, সেখানে সূচিত হল আরেকটি মাইলফলক। এই যে মহাকালের যাত্রা, সেখানে একেকটি বছর আসে নতুন উদ্দীপনা ও প্রেরণা নিয়ে। নান্দনিক সংস্কৃতি-সভ্যতা নির্মাণের জন্য মানুষকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে।
মানুষ বিগত বছরে তার জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করে। যে স্বপ্ন-প্রত্যাশা বিগত বছরে পূর্ণ হয়নি, সেটি পূর্ণ হওয়ার আকাঙ্খা নিয়ে আবার জেগে উঠে মানুষ। ২০২৩ প্রত্যাশার আলো ছড়িয়ে যাবে বিশ্বময়।
বিদায়ী বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনেক কাছের মানুষকে হারিয়েছি আমরা। কালের দেয়ালে সে দুঃখগুলো জমা রেখে এগিয়ে যাব স্বপ্নঘোরের উৎসভূমে। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে সুখ-দুঃখ-বেদনা আরও একটি বছর বিদায় নিলেও নতুন দিনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হলো নতুন একটি বছর।
নতুন বছরে সবার প্রতিজ্ঞা হোক, মেধায়-মননে,চিন্তায়-চেতনায় আমরা বিদেশের মাটিতে বাংলার সস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করবো। আমরা মর্যাদার জায়গা থেকে মানবিকবোধকে সমুন্নত রাখব। আমরা অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করব না।
কবি শহীদ কাদরী কবিতার মতই আসুক নতুন বছর-
“ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে বেড়ে যাবে
শিল্পোত্তীর্ণ কবিতার সংখ্যা প্রতিদিন
আমি এমন ব্যবস্থা করবো গণরোষের বদলে
গণচুম্বনের ভয়ে
হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি, প্রিয়তমা।”
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।