মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ) বলেছে, নিয়োগকর্তারা বিদেশি কর্মী নিয়োগের সব খরচ বহন করতে চায় আর এজন্য একটি সামগ্রিক খরচের নীতি প্রবর্তনের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন এমইএফের সভাপতি দাতুক ড. সৈয়দ হুসেইন সৈয়দ হুসমান। তিনি সে দেশে প্রবেশকারী বিদেশি কর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন এবং বাসস্থানের খরচ পর্যালোচনা করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
২১ মার্চ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিদেশী কর্মী নিয়োগের খরচ খুবই ব্যয়বহুল। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে এজেন্টের ফি দেওয়াসহ একজন বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের খরচ প্রায় ২০,০০০ রিঙ্গিত ( ৪ লক্ষাধিক টাকা)। একজন ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী নিয়োগের খরচ প্রায় ২০,০০০ রিঙ্গিত – ২৫,০০০ রিঙ্গিত।
২১ মার্চ এমইএফ সভাপতি এক বিবৃতিতে এসব উল্লেখ করে শ্রমিক উৎস দেশে নিয়োগকারী এজেন্টদের দ্বারা আরোপিত চার্জের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ এবং খরচ স্থায়ী করতে নেগোসিয়েট করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
সৈয়দ হুসেন সরকারকে ক্লাং উপত্যকার বাইরে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন এবং কোয়ারেন্টাইনের খরচ কমাতে এর সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
“আগমনের পরে বিদেশী কর্মীদের ক্লাং উপত্যকায় অবস্থিত কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলিতে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের আনুমানিক খরচ ২,০০০ রিঙ্গিত থেকে ৩,০০০ রিঙ্গিত যার মধ্যে, আবাসন, খাবার এবং পানীয় (দিনে তিনবার), কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিবহনের এবং কোয়ারেন্টাইন সময়কালে কোভিড -১৯ স্ক্রিনিংসহ। বিদেশী কর্মীদের জন্য বাসস্থানের খরচও যুক্তিযুক্ত করা দরকার। আইন ৪৪৬ অনুযায়ী নিয়োগকারীরা প্রত্যেক বিদেশী কর্মীর আবাসনর জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ রিঙ্গিত থেকে ৪০০ রিঙ্গিত দেয়। বর্তমানে নিয়োগকর্তারা আবাসনের জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের নিকট প্রতি মাসে শুধুমাত্র ১০০ রিঙ্গিত চার্জ করার অনুমতি পাচ্ছে।
সৈয়দ হুসেন বলেন, এমইএফ সরকারের কাছে আবেদন করেন যাতে নিয়োগকর্তারা বিদেশী কর্মীদের নিকট থেকে আবাসন বাবদ প্রকৃত খরচ আদায় করতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি কর্মীদের ফ্রি আবাসন নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়োগকর্তার সেক্ষেত্রে আবাসন খরচ কর্মীদের কাছ থেকে আদায় করা যৌক্তিক হবে না।