Saturday, July 19, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Advertisement
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
No Result
View All Result
Home অর্থনীতি

বিরূপ পরিস্থিতির মুখে অর্থনীতি

July 16, 2022
in অর্থনীতি, উপ-সম্পাদকীয়
Reading Time: 1 min read
0
0
0
SHARES
0
VIEWS
Share on Facebook

ড. আর এম দেবনাথ : ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের মাঝামাঝি এখন। আজ শ্রাবণের প্রথম দিন। সবে কুরবানির ঈদ পালিত হয়েছে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে। খামারিদের ব্যবসা ভালো হয়েছে, যদিও কিছু খামারি হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সার্বিকভাবে পবিত্র কুরবানি ঈদের অর্থনীতি মোটামুটি ভালোই গেছে। সারা বছর রেমিট্যান্সের প্রবাহে ধীর প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা গেলেও ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা বেড়েছিল। বেতন-ভাতা মোটামুটি সবাই পেয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ এবারই প্রথম ফেরি ছাড়া পদ্মা নদী পার হয়ে যার যার গন্তব্যে গিয়েছেন। লঞ্চ-স্টিমারের ব্যবসা মনে হয় কিছুটা কম হয়েছে।

তবে মূল্যস্ফীতির খবর ভালো নয়। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেড়েছে। জুন-জুলাই মাসেও তা-ই। মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরে। খাদ্য মূল্যস্ফীতিই প্রকট। এর থেকে সহসা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কম, যদি না ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটে।

আমাদের এখন সমস্যা অনেক। বস্তুত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট শুরুই হয়েছে নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে। দুই-আড়াই বছর গেছে করোনার ধ্বংসযজ্ঞ। অর্থনীতি বিপর্যস্ত। সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গেছে। সরবরাহ সংকট ছিল সর্বত্র। জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। মানুষ ছিল কর্মহীন, কর্মচ্যুত, বেকার। হতাশায় নিমজ্জিত ছিলাম আমরা। আশঙ্কা, আতঙ্ক ছিল সর্বত্র।

সেই দুর্দিন কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বিশ্ব আজ নতুন ‘রোগে’ আক্রান্ত। যুদ্ধ-রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দৃশ্যত; কিন্তু বাস্তবে তা এখন আগের দিনের মতো ঠান্ডাযুদ্ধ (কোল্ড ওয়ার)। সেই আমেরিকা-রাশিয়া ঠান্ডাযুদ্ধের মতো। আমেরিকা ও ইউরোপ মদদ দিচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ করছে। আমেরিকা রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের ‘স্যাঙ্কশন’ দিচ্ছে। ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বাকি বিশ্বের বাণিজ্য বন্ধ বা বিঘ্নিত। রাশিয়ার তেল-গ্যাস-গম, ইউক্রেনের গম ছাড়া আমাদের চলে না। জ্বালানি সংকট তীব্র, জাহাজ নেই-পরিবহণ সংকট। বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে আমাদের মতো দেশের সর্বনাশ। আমরা জ্বালানি আমদানি করি। বিশাল পরিমাণ টাকা যায় এ খাতে। এর মূল্য বাড়া মানে আমাদের অর্থনীতির জন্য বড়ই খারাপ খবর। এর লক্ষণ এখন স্পষ্ট। তেলের মূল্যবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমাদের আমদানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। রপ্তানিও বেড়েছে। কিন্তু আমদানির পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে, রপ্তানি সেভাবে বাড়ছে না।

এ দুইয়ের মধ্যে যে ব্যবধান, তা অনেকটা পূরণ করে রেমিট্যান্স। খারাপ খবর হচ্ছে, এই রেমিট্যান্সের পরিমাণও আগের মতো বাড়ছে না। সরকারিভাবে আসা ডলারের প্রবাহে ধীর প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। অর্থাৎ আমদানি বেশি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি কম। এর ফল বিরূপ অর্থনীতি। দেশের ‘কারেন্ট অ্যাকাউন্টে’ বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চাপ পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজার ধরে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ ডলার ব্যাংকগুলোকে দিয়েছে ও দিচ্ছে, যাতে আমদানি-রপ্তানির কাজ স্বাভাবিক থাকে। এর ফল ভালো। কিন্তু আমদানি চাহিদা মাত্রাতিরিক্ত বেশি হওয়ায় ডলার সংকট দিন দিন বাড়ছে। খোলাবাজারে ডলারের মূল্য কখনো কখনো শত টাকা ছুঁই ছুঁই। আবার দেশের ভেতরে টাকারও সংকট, যার প্রভাব পড়েছে ‘কলমানি মার্কেটে’ (আন্তঃব্যাংক লেনদেন)। যে কলমানি মার্কেটে কোনো ঋণগ্রহীতা ছিল না, সেখানে এখন গ্রাহকের অভাব নেই। ৪-৫ শতাংশে উঠেছে সুদের হার।

বাংলাদেশ ব্যাংক এ পরিস্থিতিতে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘রেপো রেট’ বৃদ্ধি করেছে। তার মানে এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেশি দরে ঋণ নেবে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের ওপর সুদের হার বাড়ানো হয়নি। এখন দরকার টাকার সরবরাহ কমানো-নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ মূল্যস্ফীতি এক নম্বর শত্রু। কিন্তু তা বাংলাদেশ ব্যাংক করছে না। ঋণকে সস্তা দরেই দিতে বাধ্য করছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আরেক ফ্রন্টে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সেটা হচ্ছে আমদানি খাত। আমদানির ক্ষেত্রে বেশকিছু বাধা-নিষেধ জারি করা হয়েছে। বিলাস দ্রব্যসহ বেশকিছু দ্রব্যের আমদানির ক্ষেত্রে গুরুত্ব বুঝে ‘মার্জিন’ বাড়ানো হয়েছে। একে বলে ‘এলসি মার্জিন’ বা ঋণপত্র খোলার মার্জিন। অনেক ক্ষেত্রে তা এখন শতভাগ। উদ্দেশ্য, আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা। দৃশ্যত বিলাস দ্রব্য কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হলেও অনেক ক্ষেত্রে কিছু পণ্য প্রয়োজনীয়ও। এসব পণ্যের মূল্য বাজারে ‘মার্জিন নিষেধাজ্ঞার’ কারণে বেড়েছে। তবে সার্বিকভাবে আমদানির চাপ কিছুটা কমেছে।

এতদসত্ত্বেও কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, মূলধনী পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও অনেক ব্যাংক ডলার সংগ্রহ করতে পারছে না। যেসব ব্যাংক ‘রেমিট্যান্স’ বেশি সংগ্রহ করে, তাদেরও সংকট ডলারের। ফলে ডলারের বাজার কোনোভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। এদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এখন থেকে সহজে তারা বিদেশে যেতে পারবেন না। মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। কম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে অর্থায়ন শ্লথ করা হয়েছে। এসবই আমদানি ব্যয় কমানোর জন্য, ডলার সাশ্রয়ের জন্য।

দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি আমাদের জন্য ডলার সংকটের জন্ম দিয়েছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। ‘রেপো রেট’ বাড়াতে হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সর্বশেষ দেখা যাচ্ছে ডলার সংকট অন্যত্রও সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এর চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটেছে লোড শেডিংয়ে, যা বিগত কয়েক বছর ছিল না। বিদ্যুৎ ছিল অফুরন্ত। লোডশেডিংয়ের প্রশ্নই ছিল না। বরং বিদ্যুৎ ছিল উদ্বৃত্ত। কিন্তু এখন দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ঘাটতি। যত বিদ্যুৎ দরকার, তত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৬ জুলাই বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে গেছে।

’ কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি। মূল কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম মানে হচ্ছে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধির ‘বাড়ি’ কোথায়? বর্ধিত খরচের টাকা আসবে কোত্থেকে? দুটি উপায় আছে। এক. সরকার আরও বেশি বেশি ভর্তুকি দেবে, যা এখনই মাত্রার বাইরে। অথবা বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো।

বর্তমানে সরকার বিদ্যুতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। আবার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখার উদ্দেশ্যে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানিতেও সরকার ভর্তুকি দেয় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এখন যদি মূল্যস্ফীতির কারণে আরও ভর্তুকি দিতে হয়, তাহলে এত টাকা আসবে কোত্থেকে? বিরাট প্রশ্ন। এর উত্তর নেই। কারণ আমাদের রাজস্ব বাড়ানো যাচ্ছে না। জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় বিগত কয়েক বছর ধরে একই আছে। এটা আগের কয়েক বছরের মতো এখনো ১০ শতাংশের নিচে। জিডিপির আকার বেড়ে যাচ্ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেশি, আগের চেয়ে বেশি। নতুন নতুন খাত-উপখাত জিডিপিতে যোগ হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মতে, দেশে এখন চার কোটি হচ্ছে মধ্যবিত্ত। কিন্তু এত প্রবৃদ্ধির মধ্যেও রাজস্ব আদায়ের হার বাড়ছেই না। এক জায়গায় প্রায় স্থবির হয়ে আছে। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ নির্দিষ্ট আয়ের লোকজন ছাড়া বাকিরা খুব কমই আয়করদাতা। আমাদের রাজস্ব আয়ের উৎস ‘কাস্টমস ডিউটি’, ভ্যাট, আয়কর এবং অসম্পূরক শুল্ক। ‘ভ্যাট’ একটি ‘ভোগ-কর’ (কনজামশন ট্যাক্স)। এটা ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে একই হারে দেয়, যা আয়করের মূলনীতির বিরুদ্ধে। এখানে সমতা ও সক্ষমতার নীতি বিসর্জিত। আয়করের বিরাট অংশ আদায় হয় উৎসে কর্তিত কর থেকে। দেশে ডজন ডজন চিহ্নিত ক্ষেত্র আছে, যার আয়ের ওপর উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়। এখানেই ধনী-দরিদ্র একই আসনে।

দেখা যাচ্ছে, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী কোনো করই দিতে চান না। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলতেন-তারা শুধু নিতেই জানে, দিতে জানে না। আর এখন নিতে নয়, সরকারই তাদের দিচ্ছে তো দিচ্ছেই। ভর্তুকি, সুদ ভর্তুকি, কর অবকাশ, কর মওকুফ থেকে শুরু করে প্রণোদনা-কী নেই তাদের জন্য! কিন্তু আমাদের দুঃখ, তাদের অবদান ট্যাক্সে খুবই কম। আয়করদাতাদের যে তালিকা প্রতিবছর ছাপা হয় তাতে ধনী, অতিধনীদের নাম কোথায়? জর্দাওয়ালা, বিড়িওয়ালাদের নাম আছে; অতিধনীদের নাম কদাচিৎ। অথচ তাদের সবার নাম থাকা উচিত ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তারা প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান/দান করেন। নিজেদের ব্যক্তিগত কোনো দানের তথ্য পাই কি? রাজস্বের এ অবস্থার মধ্যে ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’ অসহায়। তাদের চেয়ে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বেশি ক্ষমতাশালী বিধায় কর আদায়ে কোনো গতি আসছে না। যেহেতু রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেই, তাই গতি কী?

গতি ভর্তুকি বাড়ানো নয়, নয় এমনকি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিও। সরকার মনে হয় গতি হিসাবে বেছে নিয়েছে লোডশেডিংয়ের পথ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কম অর্থাৎ তেল আমদানি কম। অর্থাৎ খরচ কম। এতে মানুষের কষ্ট হবে। এতে কিছু ক্ষতি হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ অবস্থায় সবাইকে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে কতগুলো পদক্ষেপও গৃহীত হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বকেয়া বিল আদায় করা হবে। আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দোকানপাট-শপিংমল সন্ধ্যা ৮টার পর বন্ধ রাখতে হবে। বিয়ের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

এয়ারকন্ডিশনারের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে। সরকার আরও কিছু পদক্ষেপের কথা ভাবছে বলে জানা যাচ্ছে। সময়সূচি পরিবর্তন করে অফিসের সময়সীমা কমানো হতে পারে। এমনকি বাড়ি থেকে অফিস করার ব্যবস্থাও করা হতে পারে। এসব পদক্ষেপ বোঝাই যায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য। বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হলে জ্বালানি তেলের আমদানি, গ্যাসের আমদানি কমবে। ডলারের ওপর চাপ কমবে। এর মূল্য স্থিতিশীল হবে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সরকার ভর্তুকি বহনের চাপে থাকবে না। রাজস্ব নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হবে না। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্যও খুব তাগিদ থাকবে না।

বোঝাই যাচ্ছে, এটা একটা মোটামুটি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজমান তা সংকটজনক। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, যদি আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকে, তাহলে আমাদের অবস্থাও ভালো থাকবে না। অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও কষ্টের দিন আসতে পারে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না যদি আমরা আগে থেকেই সতর্ক হতাম। একটি দৈনিকের খবরের শিরোনাম : ‘জ্বালানি খাতে আমদানিনির্ভর পরিকল্পনার খেসারত দিচ্ছে কি বাংলাদেশ?’ বলা হচ্ছে, আমরা দেশীয়ভাবে গ্যাস উত্তোলনে মনোযোগী না হয়ে আমদানির দিকে ঝুঁকে পড়ি। যদি দেশীয়ভাবে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোতাম, তাহলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না।

সে যাই হোক, এসব বিচার-বিশ্লেষণের বিষয়। বর্তমান অবস্থা হচ্ছে, শিল্প খাত ইতোমধ্যেই ভুগতে শুরু করেছে। বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ী ও শিল্পে মালিকরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে তারা অর্ডারমাফিক উৎপাদন করতে পারছেন না। তারা লোকসানের মুখোমুখি। অনেকেই ব্যাংক ঋণের টাকা তফসিল মোতাবেক পরিশোধ করতে পারছেন না। এ কারণে হচ্ছেন ঋণখেলাপি। একই অভিযোগ আসছে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের পক্ষ থেকে। পরিস্থিতি যা, তাতে এটাই হওয়া স্বাভাবিক। ভুগতে হবে ব্যাংকগুলোকে। পুনঃতফসিল করতে হবে, সুদ মওকুফ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।

এখানেই কি শেষ? না, মোটেই না। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট ভাষণের এক জায়গায় বলেছেন, ভর্তুকি হ্রাসের বোঝার শতভাগ জনগণের ঘাড়ে চাপানো হবে না। অর্থাৎ বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে সরকারকে। কিছুটা ভার সরকার বহন করবে, বাকিটা গ্রাহকরা। এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়বে। ইতোমধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের দামও বাড়বে। আর এর বোঝা যে সাধারণ মানুষের ওপরই পড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Related Posts

অর্থনীতি

ভারতে গেল  ইলিশ, আলু এলো বাংলাদেশে, দাম কমল কেজিতে ২০ টাকা

September 28, 2024
4
অর্থনীতি

লেবাননে ইসরায়েলের বড় মাত্রায় বিমান হামলা, নিহত ১০০

September 23, 2024
4
No Result
View All Result

Recent Posts

  • গোপালগঞ্জে পরিকল্পিত ভাবে গণহত্যা : নিউইয়র্কে দুই দিনের সমাবেশে বক্তরা
  • ২৬ ও ২৭ জুলাই নিউইয়র্কে বিলস-এর ‘রকল্যান্ড  সংস্কৃতি ও  বই মেলা’
  • আমেরিকার চিকাগোতে রেস্তরাঁয় বন্দুকবাজের হামলা, মৃত ৪
  • রাতভর আলোচনার পর ট্রাম্পের ‘সুন্দর বিল‘এ সবুজ সঙ্কেত
  • নিউইয়র্কে জালালাবাদ ল সোসাইটির বিশেষ সভা

Recent Comments

    Sanjibon Sarker
    Editor in Chief/ President

     

    Weekly Sandhan Inc.
    Address: 70-52 Broadway 1A, Jackson Heights, NY 11372.
    Contact: +1 646 897 9262
    Email: weeklysandhan@gmail.com,
    www.sandhan24.com

    Bimal Sarkar
    Executive Editor
    Contact: +1 512-576-2944

    Quick Link

    • সম্পাদক
    • গ্যালারি

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    No Result
    View All Result
    • Home
    • Login

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    Welcome Back!

    Login to your account below

    Forgotten Password?

    Retrieve your password

    Please enter your username or email address to reset your password.

    Log In
    This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.
    Go to mobile version