বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক ৬ এমডিসহ ২২ জন কারাগারে

সন্ধান২৪.কমঃগতকাল দিনাজপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। 

কারাগারে পাঠানো সাবেক ছয় এমডি হলেন আবদুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, প্রকৌশলী আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ।

দিনাজপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারি মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। এই মামলায় ২৩ জন আসামি ছিলেন যাদের মধ্যে সাতজনই বিভিন্ন সময় এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে একজন মারা যান। বর্তমানে আসামি ২২ জন  আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে এ ২২ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত তারা উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।

কয়লা সরবরাহ না পাওয়ায় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে কয়লা আত্মসাতের ঘটনাটি আলোচনায় আসে। পরে জানা যায়, ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে, যার আনুমানিক মূল্য ছিল ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

চুরির এ ঘটনা উদঘাটনের পর বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। শুরুতেই মামলার এজাহারে ১৯ জনকে আসামি করা হলেও তদন্তে পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়ার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে নয়জনের অপরাধে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলায় তাদের নাম যোগ করা হয়। 

সে সময় আদালতে জমা দেয়া দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকার কয়লা খোলাবাজারে বিক্রির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর সাবেক সাত এমডিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর দিন ১৬ অক্টোবর দুই এমডিসহ তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ওই দিনই তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। 

 

 

 

Exit mobile version