Wednesday, July 2, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Advertisement
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
No Result
View All Result
Home মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি -ডক্টর মুহম্মদ আব্দুস সামাদ সিকদার

December 3, 2020
in মুক্তিযুদ্ধ
Reading Time: 3 mins read
0
0
0
SHARES
166
VIEWS
Share on Facebook

মু ক্তি যো দ্ধা র  স্মৃ তি

–ডক্টর মুহম্মদ আব্দুস সামাদ সিকদার

(সহায়ক গ্রন্থঃ ১. মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি –সামাদ সিকদার; ২. মুক্তিযুদ্ধঃ কিছু কথা কিছু স্মৃতি — সামাদ সিকদার)
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
সহযোদ্ধা কামরুল আহসান খান একবার অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোন করেছিলেন। তিনি এখন সেখানেই বসবাস করেন। অনেক দিন পর অনেক কথা হলো। কথা বলতে বলতে একসময়ে আমরা দু’জনই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েছিলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার কতো কথা কতো স্মৃতি!
আমার চেয়ে একটু সিনিয়র কামরুল ভাই এখন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হলেও বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক চিন্তা- চেতনার কথা জানালেন। যৌথভাবে কিছু লেখা- লেখি করার প্রস্তাবও দিলেন।
কামরুল ভাই বাংলাদেশের মতো সেখানেও অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত। অনেক ব্যস্ত নানা কাজ -কর্ম নিয়ে। ভালো লাগলো কথা বলে এবং শুনে। এতগুলো বছর পরও মানুষের আন্তরিকতা এতোটা অটুট থাকে?
২।।
ইদািনিং পুরনো অনেক বন্ধু, সহকর্মী, প্রাক্তন রাজনৈতিক সহকর্মী ও প্রাণপ্রিয় সহযোদ্ধা (১৯৭১ সনের রণাঙ্গনের সাথী) -এর সাথে যোগাযোগ হয়। ভালো লাগে। বিশেষ করে সহযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ হলে ৪৮ বছর পুর্বের কতো স্মৃতি মনে পড়ে! মনে পড়ে উঠতি যৌবনের কথকতা!
নোয়াখালীর সহযোদ্ধা আবুল কালাম, জনতা ব্যাংক- এর উচ্চপদস্হ কর্মকর্তা ছিলেন, এখন অবসরপ্রাপ্ত, তার সাথে যোগাযোগ আরেকটি মিরাকল। তাকে প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলাম। ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়ে গেলো।
নোয়াখালীর বাবুলের কথা খুব মনে পড়ে। ভারতের নেফার বিশেষ ট্রেনিং -এর সময় বাবুলসহ আমরা কয়েকজন ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলাম। এখন বাবুল কোথায় আছে, কি করে, আদৌ বেঁচে আছে কি না? তার সম্পর্কে জানতে খুব ইচ্ছে করে।
আজকাল সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর খবরই বেশি পাওয়া যায়। ফেসবুক ও মোবাইলের কল্যাণে, যতদূরেই হোক, সে খবর দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যায়। অসুস্থতাতো লেগেই আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আরও আন্তরিক হওয়া উচিৎ।
ফেসবুকের কল্যানে অনেকের সাথেই এখন যোগাযোগ হয় এবং হচ্ছ। এর পরিধি দিনেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে । ভৈরবের প্রিন্সিপাল মতিন ভাইকে দেখি, লাঠি হাতে ভাবীর সাথে সুন্দর সুন্দর জায়গায় হেঁটে বেড়াচেছন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ভাইকে দেখি। তিনি সিপিবি – এর সভাপতি। ইত্তেফাকে তার লেখা পড়ি, টেলিভিশনে কথা শুনি, মাঝে- মধ্যে বক্তৃতাও শুনি। আমাদের সকলের প্রিয়জন ছিলেন তিনি।
ডাকসুর ভি. পি. সেলিম ভাই ছিলেন আমাদের আইডল। তিনি ছিলেন আমাদের ডেপুটি কমান্ডার/ লিডার। ওসমানগনি ভাই ছিলেন কমান্ডার। এটি আমাদের ভারতের ট্রেনিং পিরিওডের কথা বলছি।
আগরতলা থেকে আসামের তেজপুর, তারপর নেফা, নেফা থেকে আর্মস ট্রেনিং / বিশেষ ট্রেনিং শেষে বায়কোড়া এস. এস. বি. ক্যাম্প এবং বাংলাদেশে ইন্ডাকশন ( প্রবেশ) পর্যন্ত এই ব্যবস্হাই ছিলো।
ইন্ডাকশন অর্থ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ। আমাদের ইন্ডাকশন সেপ্টেম্বর মাসে ছিল।
পরবর্তীকালে ১১ নভেম্বর আমাদের সহযোদ্ধাদের আরেকটি দলের দেশে ফেরার দিনতারিখ নির্ধারিত হয়। ১৯৭১ সনের ১১ নভেম্বর তারিখে আমাদের ৯ জন সহযোদ্ধা কুমিল্লার বেতিয়ারায় শহীদ হন।
৩।।
১১ নভেম্বর বেতিয়ারা শহীদ দিবস। বেতিয়ারা হলো কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি গ্রাম। যেদিক দিয়ে, আরও আগে, আমাদের দলের দেশে ফেরার কথা ছিল। হাই কমান্ডের নির্দেশে আমাদেরকে কোনাবন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের নির্দেশ আসে। পরবর্তীতে আরেকটি সহযোদ্ধা দলকে, বেতিয়ারা দিয়ে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়।
ঢাকা -চট্টগ্রাম হাইওয়ের চৌদ্দগ্রাম এলাকার গাংরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গ্রামটির নামই বেতিয়ারা। এখানেই শুয়ে আছে আমার প্রিয় ৯ জন সহযোদ্ধা, যারা ১৯৭১ সালে ১১ নভেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে সামনা-সামনি লড়াইয়ে শহীদ হন।
আমি ও আমাদের ইউনিট, সেপ্টেম্বর ১৯৭১, কোনাবন সীমান্ত দিয়ে, বহু ঝড় – ঝাপ্টা অতিক্রম করে, স্বদেশ অনুপ্রবেশ করি।
এরপর স্হানীয়ভাবে বিভিন্ন অপারেশনে অংশগ্রহন করি।
৪।।
১৯৭১ সালের মে মাসের শেষ ভাগে ভারতের আগড়তলার রিক্রুটমেন্ট ( চূড়ান্ত নির্বাচন) শেষে আমরা ২০০ জন মুক্তিযোদ্ধা আর্মস ট্রেনিং- এর জন্য আসামের তেজপুর যাই। সেখানে প্রশিক্ষনের পর বিশেষ ট্রেনিং-এর জন্য আমরা ৪৫ জন সিলেক্টেড হই এবং নেফা (NEFA– North Eastern Frontier Area) প্রশিক্ষণে যাই।
নেফা হলো ভারত-চীন বর্ডার। সে যাহোক, প্রশিক্ষন ও বিশেষ প্রশিক্ষন শেষে আমরা (১ম ও দ্বিতীয়) ২ ব্যাচের ৪০০ জন মুক্তিযোদ্ধা আগরতলার বাইকোরা এস্ এস্ বি (SSB– Special Security Branch) ক্যাম্পে জড়ো হয়েছিলাম। ওটাই ছিল ভারতে আমাদের সর্বশেষ মিলন কেন্দ্র। তারপর দলে দলে দেশে ফেরা। কেউবা শহীদ কেউবা গাজী। কেউবা মন্ত্রী, কেউবা নেতা। কারওবা ছা- পোষা জীবন, নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
৫।।
প্রতি বছরের মতো, এতগুলো বছর পর, আবার সেই দিনগুলো আমাদের সামনে উপস্হিত। কেমন করে যে এতগুলো বছর কেটে গেলো! বেঁচে আছি বলেই হয়তো লিখতে পারছি, বলতে পারছি। কত কথা, কত স্মৃতি!
৬।।
বেতিয়ারার কথা বলছিলাম। ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বরের সেই শহীদদের স্মরণে বেতিয়ারায় একটি সুন্দর বেদী নির্মিত হয়েছে। বেদীর সামনে শ্বেত পাথরে লেখা আছে ৯ জন শহীদ সহযোদ্ধার নাম। বেদী সংলগ্ন গনকবরে শুয়ে আছে (১) নিজামুদ্দিন আজাদ, (২) সিরাজুম্ মুনির, (৩) জহিরুল হক দুদু, (৪) শফি উল্লাহ, (৫) আওলাদ হোসেন, (৬) কাইয়ুম, (৭) বসিরুল ইসলাম, (৮) মো: শহীদুল্লাহ এবং (৯) কাদের মিয়া।
আমরা দৈবক্রমে আজও বেঁচে আছি। তাই সহযোদ্ধাদের স্মরণ করছি পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
— — —
***ডক্টর মুহম্মদ আব্দুস সামাদ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য।

Related Posts

মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনগুলো পশ্চীম পাকিস্থানকে সমর্থন করেছিল : কাবেরী গায়েন

July 30, 2023
144
মুক্তিযুদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ৬ নভেম্বর

November 4, 2022
15
No Result
View All Result

Recent Posts

  • নিউইয়র্কে শিল্পকলা একাডেমি ইউএসএ’র যুগপূর্তি অনুষ্ঠান
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ
  • গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি
  • নিউইয়র্কে জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী এবং শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবি
  • যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল ভিলেজ অস্টিন বইমেলা’ অনুষ্ঠিত

Recent Comments

    Sanjibon Sarker
    Editor in Chief/ President

     

    Weekly Sandhan Inc.
    Address: 70-52 Broadway 1A, Jackson Heights, NY 11372.
    Contact: +1 646 897 9262
    Email: weeklysandhan@gmail.com,
    www.sandhan24.com

    Bimal Sarkar
    Executive Editor
    Contact: +1 512-576-2944

    Quick Link

    • সম্পাদক
    • গ্যালারি

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    No Result
    View All Result
    • Home
    • Login

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    Welcome Back!

    Login to your account below

    Forgotten Password?

    Retrieve your password

    Please enter your username or email address to reset your password.

    Log In
    This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.
    Go to mobile version