সন্ধান২৪.কম: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় নিউইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৯ জুলাই সন্ধায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় এই সমাবেশের আয়োজন করে একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন।
সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন স্বীকৃতি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ শাম্মু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল সান্যাল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপন সাহা, কোষাধ্যক্ষ সুতপা মণ্ডল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শারমিন নাহার নিরু, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক জয়তুর্য চৌধুরী, নবেন্দু দত্ত,মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, হুসনে আরা বেগম, মুজাহিদ আনসারী, উদীচী যুক্তরাষ্ট্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কল্রোল দাস, সোলায়মান আলী, দীনেশ মজুমদার,ঝর্না চৌধুরী প্রমুখ।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে পরিকল্পিত হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বক্তরা বলেন, কেবল একট কিশোরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য রাষ্ট্র ও সমাজের মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়।
বক্তারা আরো বলেন, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ এবং সংবিধানে দেওয়া সকল নাগরিকের সমান অধিকারের পরিপন্থী।
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে বর্তমান ইউনুস সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে সমাবেশে আরও বলা হয়, এ হামলায় বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয় এবং সমগ্র এলাকায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ধর্মীয় অনুভূতির দোহাই দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার এই ধারাবাহিকতা আশঙ্কাজনকভাবে ঘটে চলেছে। এমন ঘটনা বারবার সংঘটিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দোষীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বক্তারা এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ,আক্রান্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং ধর্মীয় উস্কানি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে কার্যকর ও ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাইলস্টোনে স্কুল ছাত্রদের নিহত ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করা হয়। শেষে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।