সন্ধান২৪.কম ওয়েবডেস্ক: অসম্ভব, দুর্লভকে পেয়ে গিয়ে হামেশাই ব্যবহৃত হয় হাতে চাঁদ পাওয়ার প্রসঙ্গ। পৃথিবী চাঁদ পেয়েছে আগেই, তবে এবার পেতে চলেছে দ্বিতীয় চাঁদকেও।
কী এই দ্বিতীয় চাঁদ? বলা হচ্ছে ২০২৪ পিটিফাইভ হল এই দ্বিতীয় চাঁদ। বস্তুত সেটি একটি ক্ষুদ্র গ্রহাণু। এটিই হবে পৃথিবীর টেম্পোরারি অর্থাৎ অস্থায়ী ‘মিনি মুন’। প্রথম এর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায় নাসার অ্যাস্টরিয়ড টেরেস্ট্রিয়াল ইম্প্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। মনে করা হচ্ছে আয়তনে এটি মাত্র ৩৩ ফুট প্রশস্ত।
কবে পৃথিবীর আকাশে দেখা মিলবে তার? আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির গবেষণা বলছে, মধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসার আগে, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত পৃথিবী গ্রহকে প্রদক্ষিণ করবে এই গ্রহাণু। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর ওই সময়কাল।
কীভাবে দর্শন হবে পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদের? যদিও গবেষণা বলছে, আয়তনে এই গ্রহাণু এতটাই ক্ষুদ্র এবং ধূসর পাথরে তৈরি যে, খালি চোখে দেখা যাবে না তাকে। এমনকি বাড়ি থেকে দূরবীন বা হোম টেলিস্কোপে দেখাও সামান্য সমস্যার। তবে পেশাদার সরঞ্জামে চোখ রাখলে চোখে পড়তে পারে মিনি-মুন।
এই প্রসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেনিফার মিলার্ড আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানান, যেহেতু প্রফেশনাল টেলিস্কোপে এই অস্থায়ী দ্বিতীয় চাঁদ দেখা যাবে, তাই সকলে খালি চোখে একে দেখতে না পেলেও, সমাজমধ্যমে এর অনেক সুন্দর ছবি দেখতে পাবে।
আচমকা পৃথিবীর আকাশে কেন এই মিনি-মুন? এর উত্তরও দিয়েছেন মিলার্ড। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এটি পাকাপাকি ভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার জন্য আসছে না। এই গ্রহাণু আদতে তার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে, তখনই সাময়িকভাবে থাকবে পৃথিবীর আকাশে, তারপর আবার চলবে নিজের পথে।
এটাই কি প্রথম, যে পৃথিবীর আকাশে দেখা মিলবে মিনি মুন এর? গবেষণা বলছে একেবারেই না। এর আগেও বারবার ক্ষুদ্র গ্রহাণুরা এসেছে, কেউ কেউ বারবার এসেছে। যেমন এনএক্স ওয়ান, ১৯৮১ এবং ২০২২- এ সাময়িক ভাবে পৃথিবীর আকাশে ছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৪ পিটিফাইভ আবার ২০৫৫ সালে পৃথিবীর আকাশে ফিরে আসবে।