গত বৃহস্পতিবার ভ্লাদিমির পুতিন ও রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে ‘সহিংস বার্তা’ প্রচার করতে কিছু দেশের ব্যবহারকারীদের অনুমতি দিয়েছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। ইউক্রেনে চলমান আগ্রাসনের আলোকে রুশ সেনাবাহিনীর প্রতি ‘সহিংস অনুভূতি’ প্রকাশ করার জন্য নীতিমালায় সাময়িক এই পরিবর্তন এনেছে মেটা।
এরই বিপরীতে মার্কিন এই প্রযুক্তি জায়ান্টকে ‘চরমপন্থী প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার আইনজীবীরা। তবে ফেসবুকের নীতির এই পরিবর্তন নিয়ে শক্ত অবস্থানে মেটা।
গতকাল শুক্রবার মেটা জানিয়েছে, শুধু ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের নীতিতে এই অস্থায়ী পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং তা প্রয়োজন ছিল। ব্যবহারকারীরা শুধু রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতায় ‘সহিংস বার্তা’ প্রচার করতে পারবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে দেশটির তদন্তকারীরা। তা ছাড়া রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক বলেছে, আগামী ১৪ মার্চ থেকে দেশটিতে মেটার ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা সীমাবদ্ধ করা হবে।
মেটার বিরুদ্ধে রুশ সরকারের এই পদক্ষেপের পর প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের সভাপতি নিক ক্লেগ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ইউক্রেনে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিন ও রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীন মত প্রকাশের মেটার নীতিতে সাময়িক এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে রুশ জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। রুশ জনগণ সব ঘৃণামূলক বক্তব্যের বাইরে থাকবে।