সন্ধান২৪.কম: ‘সুরের খেয়ায় বর্ণালী সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানে শিল্পী জারিন মাইশার একক সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন।
গত ২৯ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা ৭টায় এই ধ্রুপদী সঙ্গীতানুষ্ঠান উডসাইডে অবস্থিত কুইন্স প্যালেস এটির আয়োজন করে শো-টাইম মিউজিক। নিউইয়র্কের নতুন প্রজন্মের এই প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী জারিন মাইশা বিভিন্ন ঘরানার গান পরিবেশন করেন। তিনি একে একে শোনান ‘ও আমার বাংলা মা তোর আকুল করা,’ ‘দুটি মন আজ নেই দুজনার,’ ফুলের কানে ভোমর এসে চুপি চুপি বলে যায়,’ ‘আমারও পরানো যাহা চায়, তুমি তাই তাই গো,’ আকাশের ঐ মিটি মিটি তারার সনে কইব কথা’ এর মত জনপ্রিয় গানগুলো।


অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক শো-টাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলম। এরপর মাইশাকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ,বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, কুইন্স ডেমোক্রেটিক লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বিপার শিক্ষক সেলিনা আশরাফ, শিল্পী মাইশার গর্বিত পিতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, কনস্যুলেট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসিফ আহমেদ, সংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, বেদারুল ইসলাম বাবলা, জাকারিয়া চৌধুরী প্রমূখ।
আবীর আলমগীরের উপস্থাপনায় অধুনিক, রবীন্দ্র সঙ্গীত,নজরুল গীতি,লোকগীতিসহ বিভিন্ন ঘরানার গান পরিবেশন করেন। প্রথমে পর্বে শিল্পী জারিন মাইশা তার একক গানগুলো পরিবেশন করলেও দ্বিতীয় পর্বে তার সতীর্থ শিল্পীর সঙ্গে দ্বৈতগান পরিবেশন করেছেন। মোট কথা সাড়ে তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে দর্শক সিক্ত হলে মাইশার গানে।

প্রসঙ্গত: জারিন মাইশার জন্ম নিউইয়র্কে। চার বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস-বিপাতে বাংলা ভাষা, গান ও নৃত্যের প্রশিক্ষন শুরু করেছিলেন। নাচ, গান এবং বাংলা পড়া এবং লেখার বিষয়ে পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ২০১১ সালে মাইশা বিপা শ্রেষ্ঠ ছাত্রী হিসেবে পুরস্কৃত হয়। বর্তমানে মাইশা বিপার নৃত্য প্রশিক্ষক। আছে নাট্যকার জামালউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় নাটক করার অভিজ্ঞতা। ঢাকার শিল্পকলা একাডেমীতে নাচের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছে ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে। ২০১৭ সালে বিপার উদ্যোগে একক গানের অনুষ্ঠান “উত্তরাধিকার” গান পরিবেশন করেন। তার গানের হাতে খড়ি হয় নিলুফার জাহানের নিকট এবং গানের গুরু সেলিমা আশরাফ। বাংলা সংস্কৃতি শিখতে সাহায্য করার জন্য তার বিপার শিক্ষক সেলিমা আশরাফ, নিলোফার জাহান, অ্যানি ফেরদৌস এবং পিতামাতার কাছে কৃতজ্ঞ বলে মাইসা তার বক্তব্যে বলেন।