সন্ধাান২৪.কম: প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিল তুরস্ক। গোল করে ম্যাচে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন চূর্ণ হলো মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে। বার্লিনে কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দুই দশক পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে নেদারল্যান্ডস। বুধবার ডর্টমুন্ডে সেমিফাইনালে ডাচদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০০৪ ইউরোয় সেমিফাইনালে খেলেছিল ডাচরা।
প্রথমার্ধে চাপ বিস্তার করে খেলে ৩৫ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু ৭০ ও ৭৬ মিনিটে দুটি গোল হজম করে ম্যাচে আর ফেরা হয়নি আরদা গুলেরদের।
গ্রুপ পর্বে ডর্টমুন্ডে পর্তুগালের বিপক্ষে হাস্যকর এক ভুলে আত্মঘাতী গোল করে বসেছিলেন তুর্কি সেন্টার-ব্যাক সামিত আকায়দিন। আজ সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্তের সুযোগ পেয়ে ছাড়েননি। ৩৫ মিনিটে তাঁর হেডে করা গোলে এগিয়ে যায় তুরস্ক।
ইংল্যান্ড ১:১ সুইজারল্যান্ড (টাইব্রেকারে ৫–৩ ব্যবধানে ইংল্যান্ড জয়ী)
জালে জড়িয়ে বলটা ফিরে আসতেই হাতে তুলে নিয়ে জোরালো এক কিকে গ্যালারিতে উড়িয়ে পাঠালেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আর্নল্ড। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেঁকে বসা চাপটাই যেন দূরে কোথাও পাঠাতে চাইলেন। একটু এদিক–ওদিক হলেই যে ছিটকে যেতে হতো টুর্নামেন্ট থেকেই!
ইংল্যান্ড নয়, ইউরো থেকে ছিটকে গেছে সুইজারল্যান্ড। টাইব্রেকারে সুইসদের ৫–৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ১২০ মিনিটের খেলায় ১–১ সমতা থাকা ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের শেষের নায়ক জর্ডান পিকপোর্ড। টাইব্রেকারে আলেক্সান্ডার–আর্নল্ডসহ ইংল্যান্ডের সবাই বল জালে জড়ালেও সুইজারল্যান্ডের মানুয়েল আকাঞ্জির শট আটকে দেন ইংলিশ গোলকিপার। এই সেভই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচের শেষমুহূর্তে হাসলেও এর আগের বেশির ভাগ সময়ই চাপে ছিল ইংলিশরা। আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র হ্যারি কেইন কোনো প্রভাবই রাখতে পারেননি। একটা পর্যায়ে ইংলিশ গ্যালারি থেকে তাঁকে উঠিয়ে নেওয়ার স্লোগানও শুরু হয়ে যায়। কেইনের তুলনায় জুড বেলিংহাম ভালো খেলেছেন বটে, কিন্তু প্রত্যাশিত মানে ছিলেন না।