সন্ধান২৪.কম ডেস্ক : বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসরাল্লা এবং হিজবুল্লা ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমেরিকার তৈরী ‘জিহিইউ-৩১ জেডিএএম’ এবং ‘স্পাইস ২০০০’ বোমা ব্যবহার করেছে ইজরায়েল।
দু’দিন আগেই হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লাকে হত্যা করে ইজরায়েল। ৩২ বছর ধরে হিজ়বুল্লার প্রধান ছিলেন নাসরাল্লা। তাঁর জন্যই ২০০০ সালে ইজরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, এই নাসরাল্লার নেতৃত্বেই ২০০৬ সালে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ৩৪ দিন ধরে হিজজবুল্লা লড়াই জারি রেখেছিল। লেবাননে গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। গত সপ্তাহেই সেখানে একের পর এক পেজার, ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি হয়। একইসঙ্গে হিজবুল্লার ডেরা লক্ষ্য করে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।
হিজ়বুল্লা প্রধান নাসরাল্লাকে প্রাণে মারার জন্য লেবাননে ‘নিউ অর্ডার’ নামে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। ইজরায়েলি বাহিনী আইডিএফ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই নাসরাল্লার গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। নাসরাল্লা প্রতি মুহূর্তে তাঁর ঠিকানা বদলাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণে দহিয়ার একটি বহুতলের নীচে বানানো বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন নাসরাল্লা। মাটির কয়েক ফুট নীচে থাকা সেই বাঙ্কারকে চিহ্নিত করে আইডিএফ। তার পর সেই বহুতলের উপর একের পর এক বোমাবর্ষণ করে তারা। কয়েক মিনিটে ৮৫টি এক টনের বোমা ফেলা হয় ওই বহুতল লক্ষ্য করে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসরাল্লা এবং হিজবুল্লা ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘জিহিইউ-৩১ জেডিএএম’ এবং ‘স্পাইস ২০০০’ বোমা ব্যবহার করেছে ইজরায়েল। প্রথম বোমাটি বানিয়েছে আমেরিকা। প্যালেস্টাইনে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইজরায়েলকে এই বোমা সরবরাহ করে আমেরিকা। ‘স্পাইস ২০০০’ বোমাটি তৈরি করেছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা। বোমার অভিঘাত এতটাই ছিল যে সাময়িক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
লেবাননে হিজবুল্লার উপর ইজরায়েলের হামলা শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজবুল্লা সদস্যদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। প্রায় তিন হাজার পেজার বিস্ফোরণ হয়। বহু মানুষের প্রাণহানি হয়। তার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জারি। একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত লেবানন।