ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের শাস্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছে। আর এতে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে জ্বালানি যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। দেশটি ইউরোপের ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করে।
upay
সোমবার রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেন, আমাদের নর্ড স্ট্রিম-১ গ্যাস পাইপলাইনে গ্যাস পাম্পিংয়ের ওপর অবরোধ আরোপের সব ধরনের অধিকার আমাদের রয়েছে।
নোভাক সতর্ক করে আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি ব্যারেল ৩০০ ডলার হতে পারে।
তবে রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা সোমবার প্রত্যাখ্যান করেছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১১ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যদিও সংস্থাটি বলেছে, এটি নিশ্চিত যে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা হয়তো অনেক বেশি।
সূত্র : রয়টার্স