অনলাইন (৫৮ মিনিট আগে) মার্চ ৮, ২০২২, মঙ্গলবার, ৩:০৩ অপরাহ্ন
1
বিশ্বের প্রথম সারির শক্তিশালী দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন সেনা। এই মরিয়া লড়াইয়ের নেপথ্য নায়ক প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীকে নিজেদের মাতৃভূমি ও স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইতে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলেছিলেন প্রাক্তন এই কমেডিয়ান। তার ডাকে সাড়া দিয়েই ছাপোষা ইউক্রেনিয়ানরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন অত্যাধুনিক অস্ত্র। মাঝে একটি গুজব রটেছিল যে, রাশিয়ার আক্রমণের কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন জেলেনস্কি। সেই গুজব মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। আমেরিকা বারবার দাবি করে আসছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জীবনে ঝুঁকি রয়েছে এবং তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা হতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে না গিয়ে দেশের নাগরিকদের পাশে থাকার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি পোস্ট করে নিজের অবস্থান শেয়ার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
পাশাপাশি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানান, তিনি লুকিয়ে নেই এবং কাউকে ভয় পান না। তিনি লিখেছেন, “আমি কিয়েভের ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে থাকছি। আমি লুকিয়ে নেই। দেশেকে বাঁচাতে এই যুদ্ধ জেতার জন্য যা প্রয়োজন সব কিছুই করতে হবে।” ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে ইউক্রেনের নেতা রুশ ঘাতকদের আক্রমণের মুখে পড়েন। যদিও তাঁকে হত্যা করার তিনটি প্রচেষ্টা ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের পতাকার পাশে তার ডেস্কে বসে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভিডিওতে বলেছেন, “আজ আমাদের সংগ্রামের দ্বাদশ সন্ধ্যা।
আমরা সকলেই যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছি এবং দেশের জন্য কাজ করছি। আমি কিয়েভে আছি, আমার দল আমার সঙ্গে আছে। “তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের লড়াইয়ের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তার বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন যে ইউক্রেন বিজয়ী হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সারা দেশে একাধিক শহরে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি।
ইতিমধ্যে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে, ব্যাপক শরণার্থী সঙ্কট শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন অসময়ে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, ভিডিও প্রকাশ করে সেই বার্তাই দিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সঙ্গে দেশবাসীর মনোবল চাঙ্গা করারও চেষ্টা করলেন। তবে অনেকেই মনে করছেন এইভাবে তিনি কোথায় আছেন তা, জানিয়ে নিজের প্রাণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট।