সন্ধান২৪.কম: ‘আগামী বাংলাদেশের ১০ করণীয়’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে প্রগ্রেসিভ ফোরাম ইউএসএ।
বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যান্ডেট হলো রাষ্ট্রে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন কায়েম করা। প্রশাসনের সকল স্তরে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আবশ্যক, যা আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার। আর এর মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথও সুগম হয়। সেমিনারে জাতিসংঘের সাবেক গবেষনা প্রধান ও জাপানের এশিয়া গ্রোথ ইনস্টিটিউশনের ভিজিটিং প্রফেসর ড.নজরুল ইসলাম একথা বলেন।
গত ২৪ আগস্ট, শনিবার, সন্ধ্যা ৭ টায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশবাদী ড.নজরুল ইসলাম।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হাফিজুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা। মঞ্চে ছিলেন সংগঠনের প্রাক্তণ সভাপতি খোরশেদুল ইসলাম ও উপদেষ্টা নিনি ওয়াহেদ।
সেমিনারে শেষ পর্বে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ছাত্রনেতা জুলফিকার হোসেন বকুল,একুশে চেতনা পরিষদের সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মামুন, সনজীবন কুমার, মিনহাজ আহমেদ শাম্বু, জাকির হোসেন বাচ্চু, দীলিপ মোদক, ক্লারা রোজারিও,হিরো চৌধুরী প্রমূখ।
ড. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু জনগনের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়াই যথেষ্ট নয়। এজন্য আরও প্রয়োজন মজবুত অর্থনৈতিক কাঠামো, গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সমাজের সকল স্তরে বিশেষত নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা, সমাজের সকল শ্রেণীর প্রতি ন্যায়পরায়ণতা, সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ ইত্যাদি। তিনি বলেন,এগুলো ছিল মুক্তিযুদ্ধের পেছনের মূল চেতনা ও প্রেরণা।
সেমিনারে যে ১০টি করণীয় চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো: অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস, সুশাসন অর্জন, গণতন্ত্রের মানোন্নয়ন ও আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, গ্রাম পরিষদ গঠন, ভৌগোলিক বৈষম্যের অবসান, সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি, নারী-শিশু-তরুণ-বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান, সর্বজনীন সামরিক শিক্ষার প্রবর্তন, সার্বভৌমত্ব শক্তিশালীকরণ ও নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতির অনুসরণ।