সন্ধান২৪.কমঃ ড. ইউনূস সরকার,সেনা প্রধান ও এনসিপির নেতারা যৌথভাবে পরিকল্পিত ভাবে গোপালগঞ্জে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যার দায় তাদেরকে নিতে হবে এবং দেশের মানুষের কাছে এর জবাবদিহি করতে হবে। গোপালগঞ্জে গত বুধবার চারজন হত্যা ও বহুমানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তরা এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জে জনতা,আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে অন্তত চারজন নিহত ও অনেক আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় ১৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন’ এবং ১৭ জুলাই নিউইয়র্ক প্রবাসী গোপালগঞ্জবাসী এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
দুই দিনের সমাবেশে ‘রুখে দাঁড়াও এসো তরুণ’‘জাতির পতাকা ফের খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’ লেখা প্লেকার্ড-ব্যানার হাতে আয়োজিত সংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রবাসী বাঙলাদেশীরা অংশ নেন। তাঁরা গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।
সমাবেশে বক্তারা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসকে ‘অশান্তির জনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, গত ১১ মাসে মবক্র্যাসীর নামে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার জন্য ইউনূসকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
দুই দিনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ড.প্রদীপ রঞ্জন কর, শাহ বখতিয়ার. সাধারণ সম্পাদক সামাদ আজাদ, মাসুদ রহমান, ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন’-এর কবি ফকির ইলিয়াস, স্বীকৃতি বড়ুয়া,গোপাল স্যানাল সহ বহু নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতারাও। তাঁরা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ ও দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান।
এছাড়াও গোপালগঞ্জে বিক্ষোভকারিদের নির্বিচার হত্যার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে আওয়ামী পরিবার একটি র্যালি করে।
জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজার ব্যস্ততম এলাকাটি ওই সময় স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে। ‘বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘ইউনূস পদত্যাগ করো’ ‘গোপালগঞ্জে মানুষ হত্যার জবার দাও ওয়াকার’ সমাবেশ থেকে এমন স্লোগান দেয়া হয়।