সন্ধান২৪.কম:
নিউইয়র্কে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রতিবাদ। শেষে এনওয়াইপিডি পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গত ৩ আগষ্ট জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলছিল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের কিছু আকস্মিক ভাবে সমাবেশে উপস্থিত হয়। তারা ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘এই মূর্হূতে দরকার,শেখ হাসিনা সরকার’, ‘এনসিপি সরকার ইউনুসের পদত্যাগ চাই’, ‘তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় অনুুষ্ঠানস্থলে চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অনেকে ভয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। তবে অনুষ্ঠান স্থল থেকে ২০০ গজ দূরে ৭৩ স্ট্রিটে পুলিশের উপস্থিতিতেই ২ পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। শ্লোগানের মধ্যেই ঊনবাঙাল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগীত অনুষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকে। এর এক পর্যায়ে কে বা কারা পুলিশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্লোগানকারীদের ধাওয়া করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর রাত ১০ পর্যন্ত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা মো: আমিদ তার ফেসবুকে মন্তব্য করেন, ‘নিউইয়র্কে গণহত্যা দিবস জুলাইয়ের অনুষ্ঠান ভুুুুন্ডুল করে দিল যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ ও প্রবাসীরা।’
ছাত্রলীগের এক কর্মী এই প্রতিবেদকে জানান, নিউইয়র্কে রাজাকারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির অবস্থান। সেই জন্যে আমরা বিক্ষোভ করেছি।
রাত ১০টা নাগাদ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলে। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সবুর। সঞ্চালনা করেন আব্দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট, ড. শওকত আলী, এটর্নি মঈন চৌধুরী,আলী ইমাম মজুমদার, এএফএম জামান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, তোফায়েল চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন সবুজ, জয়নাল আবেদীন,আকতার হোসেন বাদল, আহসান হাবিব ও কবি কাজি জহির।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম,আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান,যুক্তরাষ্ট্র জাসদ (রব) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিটন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবিএম ওসমান গণি, টিবিএন টিভির প্রতিনিধি এএফএম মেজবাউজ্জামানসহ বেশ কয়েকজনকে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়।